শিরোনাম
গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়ে দুদক অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ নিজ জেলা বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ডিসি এসপি ইউএনওদের পদায়ন নয় খাগড়াছড়িতে বুক পকেটে চিরকুট রেখে যুবকের আত্মহত্যা ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিনজন পাহাড়ি হত্যার বিচারের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পিসিসিপির বিক্ষোভ বড় শক্তি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের অভিযান খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে ইউপিডিএফ এর নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড প্রসঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও থামছে না ইসরায়েল, বাড়ছে মানবিক বিপর্যয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিরা কে কোথায়?

পাল্টাপাল্টি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া, নতুন স্নায়ুযুদ্ধের শঙ্কা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪
  • ২১৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রাশিয়া। আবারও মাঝারি এবং স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এসব অস্ত্র বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের কারণে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন কর্মকাণ্ডের জবাবে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা জানিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বে ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি সীমিতকরণের যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছিল তা কার্যকর থাকার শেষ সম্ভাবনাও শেষ হতে যাচ্ছে। ফলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, চীনসহ এ দুই দেশ আবারও অস্ত্র প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতে পারে।

স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি করেছিল। ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান স্বাক্ষর করেছিলেন। ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্স ট্রিটি বা আইএনএফ নামে পরিচিত এ চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন সীমিত করার কথা বলা হয়েছিল।

২০১৯ সালে এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে মস্কো এ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। যদিও ক্রেমলিন এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এটির উৎপাদন ফের চালু করেছে। এগুলোকে ডেনমার্ক ও ফিলিপাইনে মহড়ার জন্যও নিয়ে এসেছে।

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণকালে পুতিন বলেন, আমাদের এর জবাব দিতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেব তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এ ধরনের আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্রের উৎপাদন শুরু করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৃত পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের নিরাপত্তা জন্য এগুলো কোথায় মোতায়েন করা হবে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions