পাহাড়ে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
  • ১০২ দেখা হয়েছে

খাগড়াছড়ি:- পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা দেশের অন্য জেলা থেকে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। এ অঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর সন্তান, কর্মরত সামরিক ও বেসরকারী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানতে যখন তার একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় তখন এ জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না এবং ঢাকা বা অন্য জেলার সাথে নৈশ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। এ সব কারণে এখানে কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের চাকরি করতে নানা সমস্যায় পড়তে হতো। ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে তাদের সন্তানদের পড়াশোনা ব্যাঘাত হতো। খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ হওয়ায় এখন সে সব সংকট নিরসন হয়েছে।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এখানে বাংলার পাশাপাশি নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যম চালু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যম চালুর প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে পার্বত্য জেলাগুলোর সীমানা পেরিয়ে সমতল অঞ্চলেও খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রাকৃতিক পরিবেশে সুপরিসর ও মানসম্মত শ্রেণিকক্ষ নিয়ে ২০০৫ সালে খাগড়াছড়ি শহরের উপকণ্ঠে সেনানিবাসের প্রবেশমুখে সাড়ে ৯ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৬ সালে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৭ সালে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় নবম শ্রেণি, ২০০৮ সালে উক্ত বিভাগসহ দশম শ্রেণি, ২০০৯ সালে এ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

এছাড়া ২০০৬ সালের জুলাই মাসে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় কলেজ শাখার কার্যক্রম শুরু হয় ও ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও ২০১৪ সালে নার্সারি শ্রেণিতে ইংরেজি ভার্সন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শাখায় সর্বমোট ৮১ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন। যার পুরুষ শিক্ষক ৪৭ জন এবং নারী শিক্ষক ৩৪ জন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের উপরে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতায় খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়ের মানুষের সন্তানদের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, দেশপ্রেম জাগ্রত করা, মান সম্মত শিক্ষা প্রদান ও দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক সিহেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়।

খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডারের সভাপতিত্বে শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত দুই বছরের জন্য ৭ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ পরিচালিত হয়ে আসছে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪ তলা বিশিষ্ট স্কুল ভবন, একটি কলেজ ভবন, একটি ছাত্রাবাস, ২ তলা বিশিষ্ট একটি প্রশাসনিক ভবন, ৫০০ আসন বিশিষ্ট একটি আধুনিক অডিটরিয়াম, ২ তলা বিশিষ্ট অধ্যক্ষ বাসভবন, ৫ তলা বিশিষ্ট ৩টি শিক্ষক বাসভবন, কর্মচারীদের জন্য ৪ তলা বিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবন, একটি মসজিদ, একটি বঙ্গবন্ধু মুর‌্যাল, শহিদ মিনার ছাড়াও পদার্থ বিজ্ঞানাগার, রসায়ন বিজ্ঞানাগার, জীববিজ্ঞানাগার, ভূগোল ল্যাব, ডিজিটাল ক্লাস রুম বিদ্যমান। স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্রপাতি বিদ্যমান বিজ্ঞানাগারে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা- ৩৪৫৫টি, ম্যাগাজিনের সংখ্যা ৩১৫টি, একাধিক দৈনিক পত্রিকা সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু কর্নার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য আলাদা কর্নার ও ইংরেজি গ্রামার কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ শতভাগ পাশসহ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতি বছর জেলার সর্বাধিক জিপিএ ৫ প্রাপ্তিসহ শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সনদপ্রাপ্ত। পড়াশুনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন আসছে।

প্রাকৃতিক পরিবেশে সুপরিসর ও মানসম্মত শ্রেণিকক্ষ, বড়দের খেলাধুলার জন্য মাঠ, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মিনি পার্ক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পার্ক, আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে ছায়াবীথি নামক অত্যন্ত সুন্দর একটি পার্ক, অভিভাবকদের বসার জন্য ওয়েটিং রুম এবং একটি গার্ডিয়ান সেড, শ্রেণিকক্ষে বিরামহীন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশে মনোরম ফুলের বাগান, কলেজ ও স্কুল ভবনে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিষ্কার রাখার জন্য মোট ৪৫টি ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে।

বিভিন্ন মনীষীদের বাণী স্থাপনসহ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষামূলক চিত্রাঙ্কন, ব্যানার অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দিবস, কর্মসূচি ও প্রতিযোগিতা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য একটি আধুনিক অডিটরিয়াম রয়েছে।

ইন্টারেক্টিভ বোর্ড, ইন্টারনেট সংযোগ প্রজেক্টর ও কম্পিউটার সংযোজিত আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, ডিজিটাল আইসিটি ল্যাব এবং নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ এবং সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে ১২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সুপেয় পানির জন্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থাপনায় ওয়াটার প্ল্যান্ট-স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে নারী ও পুরুষ শিক্ষকদের জন্য আলাদা সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া স্কুল ও কলেজ ভবনের প্রতি তলায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াটার প্ল্যান্ট-এর মাধ্যমে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে ২২টি ক্লাব চালু রয়েছে। বিজ্ঞান ক্লাব, গণিত ক্লাব, সাধারণ জ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব (বাংলা), বিতর্ক ক্লাব (ইংরেজি) সংগীত ক্লাব, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চা ক্লাব, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য চর্চা ক্লাব, দাবা ক্লাব, হ্যান্ডবল ক্লাব (ছাত্রী), ফুটবল ক্লাব, ভলিবল ক্লাব, স্কোয়ার ক্লাব, টেবিল টেনিস ক্লাব, আইসিটি ক্লাব, পরিবেশ ক্লাব, কারাতে ক্লাব, হেলথ ক্লাব, বাস্কেটবল ক্লাব, ব্যাডমিন্টন ক্লাব, আর্ট ক্লাব, নৃত্য ক্লাব ইত্যাদি।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আন্তঃহাউস বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় উপজেল, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বরে স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এছাড়া চলমান বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ভাল ফলাফল অর্জন, গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, সাধারণ জ্ঞানসহ আন্তঃক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন খেলাধুলা প্রতিযোগিতায় নিয়মিত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বে স্বাক্ষর রেখে আসছে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে স্কাউট, বিএনসিসি গার্ল গাইডস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, বিজ্ঞান, বিতর্ক, আইসিটি, নাচ, গান, ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ইত্যাদি ক্লাব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলা ছাড়াও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপদ, মনোরম এবং উন্নত আবাসিক সুবিধার কারণে পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা থেকেও অনেক শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করতে আসছে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার পরিবেবশ ও মানে খুশি অভিভাবকরা ও শিক্ষার্থীরা। পড়াশুনার ক্ষেত্রে জেলাবাসী প্রথম পছন্দ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মানবিক শাখার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিসেন্তি চাকমা বলেন, কলেজের শিক্ষকরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। না বুঝলে বারবার বুঝান। যার কারণে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন পড়ে না।

অভিভাবক ক্ষেত্র মোহন ত্রিপুরা বলেন, খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এখানে শিক্ষার মান অত্যন্ত ভালো। শিক্ষকরা যত্ন সহকারে শিক্ষা দেন। শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে অনেকে দেশের বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন, নগর পরিকল্পনাবিদ হয়েছেন, গবেষণা করছেন, কেউ কেউ হয়েছেন চিকিৎসক, ব্যাংকার ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী থুইচিং মারমা বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জেনারেল অফিসার পদে কর্মরত। তিনি খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করে বলেন, এ কলেজের শিক্ষাদান পদ্ধতি তার জীবনে সাফল্যের পিছনে অবদান রেখেছে।

মেহেরাজ মাহমুদ এই কলেজ থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে এখন এ কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তার মতে, এ কলেজে শিক্ষা পদ্ধতি এতোই আধুনিক মানের, যে দেশের যেকোন সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে হার মানাবে। যার কারণে খারাপ শিক্ষার্থীও এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর ভালো ফলাফল অর্জন করছে।

শুধু মেহেরাজ মাহমুদ নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে অন্তত ১৭ জন সাবেক শিক্ষার্থী খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে শিক্ষাকতা পেশায় যোগ দিয়েছেন।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল রুবায়েত আলম পিএসসি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি গুণগত শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে আসছে, যাতে শিক্ষার্থীরা একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেদের বিশ্বমানের প্রতিযোগি মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

তিনি আরো বলেন, প্রণীত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিংসহ বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়। প্রয়োজনের তাদের বাধ্যতামূলক কলেজ হোস্টেলে রেখে রাতে ক্লাস নেওয়া হয়। এরই মাধ্যমে আমরা এর ভালো ফলাফল পাচ্ছি।পার্বত্যনিউজ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions