আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- মায়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার দেশটির সব পুরুষ নাগরিকের জন্য দেশের বাইরে চাকরি করা নিষিদ্ধ করেছে। দ্য ইরাবতিতে শুক্রবার (৩ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীতে নাগরিকদের জোরপূর্বক যুক্ত করার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে জান্তা সরকার।
এর আগে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সঙ্গে লড়াইয়ে সেনা সংকট হওয়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের সামরিক সেবায় যোগদানে তোড়জোড় শুরু করে জান্তা সেনারা। একাধিক ব্যাচকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছে। তবে জান্তা সেনাদের এমন সিদ্ধান্তে খুশি নন দেশটির সাধারণ নাগরিকরা। সামরিক সেবায় যোগদান এড়াতে অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যান। নতুন করে যাতে কেউ সামরিক পরিষেবায় যুক্ত হওয়া এড়াতে না পারে, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জান্তা সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানায়, পুরুষদের বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক। ১ মে থেকে এটি কার্যকর হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কার্যকর থাকবে। তবে সরকারের এই পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মায়ানমার ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাজেন্সিস ফেডারেশনের (এমওইএএফ) একজন কর্মকর্তাও দ্য ইরাবতিকে স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে কাউকে দেশের বাইরে কাজের সন্ধানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে আগে যারা অনুমতি পেয়ে গেছেন, তারা যেতে পারছেন।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি জান্তা সরকার বাধ্যতামূলক সামরিক সেবায় যুক্ত থাকার আইন ‘কনস্ক্রিপশন ল’ কার্যকর করে। যার আলোকে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের ডাক পড়লে বাধ্যতামূলক সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হতে হবে। এর পরই থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যায়। এ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। সূত্র: দ্য ইরাবতি