নির্বাচনের আগমুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন আ. লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ মে, ২০২৪
  • ৪৩ দেখা হয়েছে

বান্দরবান:- অবশেষে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বান্দরবান সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম জাহাঙ্গীর। দলের অসহযোগিতা, প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদের অনীহা ও নানামুখী হুমকির কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে।

তিনি বলেছেন, আজ থেকে তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তিনি পরে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা এবার বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। সদর উপজেলায় এবার তার সাথে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল কুদ্দুস। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে একেএম জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে তিনি দল থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। তার ওপর নানাভাবে তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকার ছয়টি ইউনিয়নে তাকে না যেতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিনি যে কোনো সময় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা তিনি স্থগিত করেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় কোন প্রার্থী নেই। তাছাড়া কেন্দ্রের নির্দেশে কোন প্রার্থীর পক্ষেই নেতাকর্মীরা কাজ করছে না। একেএম জাহাঙ্গীর যে ঘোষণা দিয়েছেন এটি তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। গত পাঁচ বছর তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তিনি কি ধরনের সম্পর্ক রেখেছেন এটি তিনিই ভাল জানেন। নির্বাচনে দলীয় অনেক নেতাকর্মীই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। কারো পক্ষেই দলের সিনিয়ররা কাজ করেনি। এখন তিনি হুমকির কথা বলছেন দলীয় সহযোগিতার কথা বলছেন এটি আমাদের বোধগম্য নয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions