ডেস্ত রির্পোট:- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি চান না ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে আয়োজিত এক ভোটে তারা এ মত দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী পাঁচ হাজার ৮৩৪ জন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৬৮৩ জন বুয়েটে পুনরায় রাজনীতি চান না।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রাতিষ্ঠানিক মেইল ব্যবহার করে অনলাইনে গত দুদিন এ ভোট চলে।
শিক্ষার্থীরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি ছাত্রলীগপন্থী শিক্ষার্থীদের।
একইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একই স্থানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
এ সময় কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটারিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল এবং বিষ্ণুদত্ত চাঁদ উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্ররাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে তারা শিক্ষার্থীদের কাছে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। উত্ত্যক্তকারীদের নামসহ উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়ে বিচার ছাত্রলীগপন্থী শিক্ষার্থীরা।
এই শিক্ষার্থীরা বলেন, কে কোন পক্ষে ভোট দিচ্ছিলেন, তা দেখা যাচ্ছিল। ফলে রাজনীতির পক্ষে অনেক শিক্ষার্থীর মত থাকলেও বিচ্ছিন্নতার ভয়ে তারা বিরুদ্ধে ভোট দেন।
এদিকে একই দিন বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ‘অপরাজনীতি’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মতামতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
ছাত্রদলের এ অবস্থানকে ‘রাজনৈতিক মদদপুষ্ট’ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, পরে অন্য কোনো সংগঠনও যদি এমন বক্তব্য দিয়ে আমাদের আন্দোলন ঘোলাটে করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা তাদেরও প্রত্যাখ্যান করব।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘন করে ছাত্রদল বুয়েটে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। আমরা তখনও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিই। সামনেও ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি প্রবেশের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ভূমিকা রাখব।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের অবস্থান কোনো একক ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে নয়। আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি প্রবেশের বিরুদ্ধে। যেকোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অনড়।