খৎনার সময় এবার শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খৎনা করার সময় আল নাহিয়ান তানভীর (৮) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশু আল নাহিয়ান তানভীর উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আলমগীরের ছেলে। বর্তমানে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে শিশু তানভীরকে খৎনা করাতে তার পরিবারের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন সেখানে মেডিকেল অফিসার এবং উপসহকারী মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন না। সৌরভ নামে এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (শিক্ষানবিশ) শিশুটির খৎনা করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলেন।

এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটির স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং সৌরভকে চড়থাপ্পড় মারেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম ও উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবু নাছেরসহ জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা অন্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ভুক্তভোগী শিশু তানভীরের বাবা আলমগীর বলেন, আমরা শিশুকে খৎনা করাতে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আসছে বলে সৌরভ নিজেই খৎনা করায়। এতে আমার ছেলের পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তপাতে আমরা ভয় পেয়ে যাই এবং সৌরভকে আটকে রাখি। বর্তমানে চিকিৎসকরা শঙ্কামুক্ত বললেও আমরা আমরা শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। আমি সৌরভের শাস্তি দাবি করছি।

শিশুটির চাচা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ বলেন, জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভিযুক্ত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ফোন দিলে দায়িত্বে থাকা ডা. মো. সাহাদাত হোসেন সাগর ফোন রিসিভ করলেও তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এদিকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (শিক্ষানবিশ) সৌরভের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবু নাছের বলেন, ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি তেমন জটিল ও গুরুতর নয়। শিশুটি এখন ভালো আছে। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় নোয়াখালীর সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মাহামুদ চৌধুরী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম সাহেব অসুস্থ থাকায় তিনি কারও ফোন ধরতে পারছেন না। আমরা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি। গুরুতর কোনো ঘটনা ঘটেনি। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। তবে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (শিক্ষানবিশ) সৌরভের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions