রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে তিন দিনের ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৯৭ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতিফলন এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার লক্ষে রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে তিন দিনের ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল । পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাকজমকপূর্ণভাবে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। আয়োজকদের আশা এ ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহীবাহারি খাবারের সমাহার, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) দেশের অন্যতম পর্যটন অঞ্চল। দেশের পাহাড়ের এ পর্যটন সম্পদের সম্ভাবনা প্রসারিত ও বিকশিত করায় উদ্দেশ্যে আয়োজন এ ফুড ফেস্টিভ্যালের । পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে ১-৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল-চলবে । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকার তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান,সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ফেস্টিভ্যালে পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চগ্যা, বাঙ্গালি, অহমিয়া, খেয়াং, খুমি, গুর্খা, চাক, পাংখোয়া, বম, লুসাই, রাখাইন এবং সাঁওতালসহ ১৬টি সম্প্রদায় অংশগ্রহণ করছে। এ সকল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটবে এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন আগত দর্শনার্থীরা ।

প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে তিনদিন ব্যাপী সকল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাবারের বাহারি সমাহার এবং থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন । ফেস্টিভ্যালের মূল থিম হচ্ছে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারীদের ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন।

জেলা পুলিশ বিশেষ শাখা পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালের আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

এর মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধন সুদৃঢ় হবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions