শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে এমএন লারমা’র মৃত্যুবার্ষিকীতে নানান আয়োজন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রায় ৯১৫ মে. টন কাগজ সরবরাহ করবে কর্ণফুলী পেপার মিলস পাকিস্তানে সংবিধান সংশোধন: সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ছে, কমছে উচ্চ আদালতের ওজন কমাতে ওজেম্পিক গুঞ্জন: ক্ষুব্ধ তামান্না ভাটিয়া চট্টগ্রামে অস্থিরতার নেপথ্যে এক ডজন সন্ত্রাসী, আছে রাজনৈতিক মদত আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থিতা বাতিল, গেজেট প্রকাশ দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে ২২ গাড়ি ভষ্ম, নিহত ১৩ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে সংসদ নির্বাচনে পোস্টার, ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ,আচরণ বিধিমালা জারি স্বাস্থ্যের তিনটিসহ একনেকে ১২ প্রকল্প অনুমোদন

১৮ হাজার টাকা চুরির মামলায় ৩১ বছর পর খালাস

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৫১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- আঠারো হাজার টাকা চুরির অভিযোগে মামলা হয় ১৯৯২ সালের ৭ আগস্ট। ওই মামলায় বিচারিক আদালত চারজনকে সাজা দেন ১৯৯৩ সালের ১৫ মে। এরপর তাঁরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও তা খারিজ হয়। অবশেষে হাইকোর্টে আবেদন করলে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আসামিদের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট রায়ে বলেন, সার্বিক পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। হয়রানি করার হীন মানসে এই মিথ্যা মামলা করেছেন বাদী। বিচারিক আদালত ও আপিল আদালত সঠিকভাবে দালিলিক এবং মৌখিক সাক্ষ্য পর্যালোচনা ছাড়াই রায় দিয়েছেন, যা হস্তক্ষেপযোগ্য।

রায়ে আরও বলা হয়, এক নম্বর সাক্ষী হচ্ছেন এই মামলার বাদী। এজাহারের সঙ্গে তাঁর সাক্ষ্যে যথেষ্ট গরমিল রয়েছে। ২,৩, ৫,৬ ও ৭ নম্বর সাক্ষী চুরির কথা শুনেছেন। চার নম্বর সাক্ষী টাকা উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন না। আর ৮ নম্বর সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চের দেওয়া ১৩ পৃষ্ঠার ওই রায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশেক মোমিন। আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯৯২ সালের ৩০ জুলাই সোনালী ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা তুলে ঘরের ট্রাঙ্কে রাখেন জব্বার মিয়া। পাশের কক্ষে বসবাসকারী ইব্রাহিম সেই টাকা রাখতে দেখেন। ওই বছরের ৫ আগস্ট রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখেন ট্রাঙ্কটি নেই। বাইরে গিয়ে দেখেন ইব্রাহিম ও কবির ট্রাঙ্ক ফেলে দৌড়ে পালাচ্ছেন। পরে ৭ আগস্ট নরসিংদী থানায় মামলা করা হয়।

মামলার বিচার শেষে ১৯৯৩ সালের ১৫ মে আসামিদের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে আসামি কবির, রাজ্জাক ও ইব্রাহিমকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং রাজ্জাকের মা কিরণ নেছাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর আলামত হিসেবে জব্দ টাকা বাদীকে ফেরত দিতে বলা হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে নরসিংদীর দায়রা জজ আদালত ১৯৯৫ সালের ২৫ মার্চ তা নামঞ্জুর করেন। এরপর আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্য আসামিরা আপিল খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions