ডেস্ক রির্পোট:- পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তার চেয়ে ঢের বেশি দুর্নীতি হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে। সাহস থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক কেন্দ্র। এই ভাষাতেই মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে প্রথম সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পাল্টা হিসেবে তুফানগঞ্জের সভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে গেলেন, আমাদের এখানে সব পঞ্চায়েত তো আমাদের নয়। কোথাও কোথাও কেউ ‘দুষ্টুমি’ করে থাকতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন আর কোনও অভিযোগ নেই। তাও ৩ বছর টাকা আটকে রাখা হলো। তা সত্ত্বেও ৭০ হাজার কোটি টাকার উপর আমরা খরচ করেছি।
কোটি কোটি মানুষকে কাজ দিয়েছি। আমি ১১ লাখ বাড়ির লিস্ট দিয়েছিলাম। এই যে বাড়িগুলো ভেঙে গেল, ৬ লাখ বাড়ি এই ১১ লাখ বাড়ির লিস্টে ছিল। বলা হচ্ছে, দুর্নীতি হয়েছে। সাহস থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, বাংলায় কী দুর্নীতি হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে কী দুর্নীতি হয়েছে, গুজরাটে কী দুর্নীতি হয়েছে সামনে আনুন।
আরো একধাপ এগিয়ে মোদিকে ব্যঙ্গ করে মমতা বলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমরা আজ দুর্নীতিবাজ বটে।’ তুফানগঞ্জের সভা থেকে মমতা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককেও আক্রমণ করে বলেন, ‘আগে নিজের প্রার্থীদের পিছনে কী ছাপ লেগে আছে দেখুন। তার পর আমাদের দুর্নীতি নিয়ে বলতে আসবেন।’ মোদির কোচবিহারের সেই সভাকে কলকাতা থেকে পাঁচ বিশেষণে বিঁধল তৃণমূল। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সভা দেখে আমাদের পাঁচটা জিনিস মনে হয়েছে। এক. আমানবিক, দুই. অসৎ উদ্দেশে মিথ্যাচার, তিন. দ্বিচারিতা, চার. ভিত্তিহীন কুৎসা এবং পাঁচ মেকি দরদ।’ গত রোববার ৩১ মার্চ কালবৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির বেশ কিছু এলাকা। রাতেই অকুস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রচার থামিয়ে পরের দিন ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিন পর বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের আর এক জেলা কোচবিহারে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ তার বক্ততায় ঝড়ের বিষয়ে একটি শব্দও নেই কেন, এই প্রশ্ন তুলেও সরব হয়েছে তৃণমূল।