বান্দরবান:- বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজার থেকে পিবিআইয়ের ৫ সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. সৈকত শাহীন।
তারা সোনালী ব্যাংকটির ভল্ট দেখেন। তবে কোন টাকা লুট হয়েছে কিনা এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, পিবিআই ও ব্যাংকের তদন্ত টিমের কাজ শেষে বলা যাবে ভল্ট থেকে টাকা লুট হয়েছে কিনা।
এদিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। তাকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম অভিযান পরিচালনা করছে এলাকায়। অন্যদিকে ব্যাংক ম্যানেজারের মুক্তির দাবিতে রুমা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে উপজেলা কমপ্লেক্সে। ঘটনার প্রতিবাদে রুমা উপজেলার সাথে বান্দরবানের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সকাল থেকে। ব্যাংকে হামলার পর রুমায় এখন বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। উপজেলা সদরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে এবং সোনালী ব্যাংকে লুটপাট চালায়। সোনালী ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি তারা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। মারধর করা হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এ সময় সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের ভল্টটি ভাঙচুর করে।
সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভল্টটি সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করেছে। সেখানে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিনা তা এখনো জানা না গেলেও ওই সময় ভোল্টটিতে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ছিল বলে তারা জানিয়েছেন। তদন্তের পরই এ বিষয়ে সবকিছু জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট জানিয়েছেন।