ডেস্ক রির্পোট:- ঘরের মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য দেখিয়ে ৩৬ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে বড় জয়ের আভাস দিচ্ছিল স্পেন।তবে চাপ সামলে ১৪ মিনিটের ব্যবধানে সেই দুই গোল পরিশোধ করে লড়াই জমিয়ে তুলে ব্রাজিল।ফের এগিয়ে গিয়ে জয়ের পথেই ছিল স্পেন।তবে যোগ করার সময়ে ফের ব্রাজিলের নায়ক বনে যান লুকাস পাকেতা ।এই ওয়েস্ট হ্যম তারকার গোলেই হার এড়িয়েছে সেলেসাওরা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মঙ্গলবার রাতের দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের শ্বাসরুদ্ধকর প্রীতি ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে।স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রদ্রি:অন্য গোলদাতা দানি ওলমো। ব্রাজিলের হয়ে একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন রদ্রিগো, ফিলিপে এন্দ্রিকে ও পাকেতা।
এদিন শুরু থেকে বল পজিশন ধরে রেখে ব্রাজিলকে চাপের রাখে স্পেন।১২ তম মিনিটে রদ্রির সফল স্পট কিকের পর দানি অলমো মুগ্ধকর এক গোলে ব্যবধান দিগুণ করেন। শুরু থেলে স্পেনের প্রেসিং ফুটবলে খেই হারানো ব্রাজিল দ্বিতীয় গোল হজমের পরে ঘুরে দাঁড়ায় স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমনের মারাত্মক এক ভুলে।
বক্সের সামনে রদ্রিগোর পায়ে অবিশ্বাস্যভাবে বল তুলে দিয়েছিলেন সিমন। এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ব্যবধান ২-১ করে ব্রাজিল। এই ব্যবধানেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর রাফিনিয়াকে তুলে ১৭ বছরের এনদ্রিককে মাঠে নামান দরিভাল। আগের ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম গোলে ব্রাজিলকে জয় এনে দেওয়া এই বিস্ময়- বালক এদিন মাঠে নেমেই পেয়েছেন জালের দেখা।বক্সের ভেতর দৃষ্টিনন্দন এক ভলিতে গোল করে ব্রাজিলকে ২-২ সমতায় ফেরান ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের ‘ভবিষ্যৎ’ হিসেবে তকমা পাওয়া এন্দ্রিকে।
দ্রুত দুই গোল হজম করলেও বল পজিশন ও আক্রমণে তখনও এগিয়েছিল স্পেন।৮৫তম মিনিটে ডি-বক্সে বেরাল্দু প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার দানি কারভাহালকে ফাউল করলে আবারও পেনাল্টি হজম করে সেলেসাওরা। এবারও রদ্রি কোনো ভুল করেননি, দারুণ স্পট কিকে আরেকবার দলকে এগিয়ে নেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।
হার এড়াতে শেষদিকে একের পর এক আক্রমনে যায় দারিভালের দল।ম্যাচ শেষের কয়েক সেকেন্ড আগে থ মিলে সফলতাও। গালেনো কারাভাহালের দৃষ্টিকটু ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল।স্পট কিকে পাকেতা গোল করলে উল্লাসে মাতে ব্রাজিল।
২০২৩ সালে টানা চার ম্যাচ জয়শূন্য ব্রাজিলের নতুন বছরে নতুন কোচের যুগে শুরুটা হয়েছে দারুণ।