ডেস্ক রির্পোট”- দেশের রফতানি আয়ের মূল উৎস তৈরী পোশাক খাত। কিন্তু ক্রমেই এই খাতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। একদিকে শ্রমিকরা নতুন বেতন কাঠামো মেনে নেয়নি এবং প্রত্যাশিত বেতনের দাবি থেকে সরে আসেনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘শ্রমনীতি’ খড়গ। গত এক বছরে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি কমে গেছে। এর মধ্যে ‘গণতন্ত্র’ ইস্যুতে অসন্তুষ্ট বাইডেন প্রশাসন। শ্রমিকদের অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি) বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের পোশাক খাত নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের শুরুতে গত ১১ মার্চ বাংলাদেশের শুনানিতে যথাযথ জবাব দিতে পারেনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি। তার মধ্যে ঈদের আগে শুরু হয়েছে বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তা। প্রায় পাঁচ শতাধিক গার্মেন্টসের ঈদের আগে সময়মতো শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার সক্ষমতা নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
জানা গেছে, কয়েকশ’ গার্মেন্টসে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটÑ এ আট শিল্প এলাকার ৯ হাজার ৪৬৭ কারখানার মধ্যে ৪১৬টি কারখানায় বেতন-বোনাস দেয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ১৭১টি কারখানার অবস্থা খুবই খারাপ। আবার তৈরী পোশাক খাতের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে ৬২৮টি। এর মধ্যে সমস্যা হতে পারে এমন কারখানা আছে ৭১টি। এসব তথা প্রায় ৫ শতাধিক কারখানায় ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে রমজান মাসে শ্রমিক রাজপথে নেমে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
জানতে চাইলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদের আগে বেতন ও বোনাস দিতে দেরি হলে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমরা কারখানা মালিকদের সতর্ক করে দিয়েছি যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শ্রমিকদের সময়মতো বেতন দিতে হবে।
বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, কারখানাগুলো নিয়ে শিল্প পুলিশের উদ্বেগ সঠিক। এ বছরের মতো খারাপ অবস্থা পোশাক খাতে আর আসেনি। ঈদকে সামনে রেখে কঠিন অবস্থায় আছি। এখনও অনেক কারখানা ফেব্রুয়ারির বেতন দিতে পারেনি। ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদান নিয়ে আমরা চিন্তিত ও শঙ্কিত। দীর্ঘদিন থেকেই এটি নিয়ে চাপে রয়েছে পোশাক খাত। ব্যয়ের অনুপাতে বায়ারদের কাছ থেকে সঠিক দাম পাচ্ছে না। তবে বর্তমান এই সঙ্কটে পূর্বের মতো যাতে যথাসময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারি সে জন্য সবার সহযোগিতা চাই।
দেশের রফতানি আয়ের মূল উৎস তৈরী পোশাক খাত, যেখান থেকে বিজিএমইএ’র হিসেবে গেল বছর এসেছে ৪৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে আমেরিকা থেকে ৭ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। যদিও এই আয় আগের বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি কমেছে আবার শ্রম অধিকার লঙ্ঘনে সম্প্রতি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের নতুন ‘শ্রমনীতি’ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে পোশাকের নতুন রফতানি আদেশ প্রতিদিনই কমছে। আর এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে দেশের পোশাক খাতে।
এদিকে বাংলাদেশে শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাও (আইএলও)। আইএলও’র এ বার্তাও পোশাক খাতের জন্য অশনি সঙ্কেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে পোশাক খাতের রফতানি আয়ের আর এক বড় উৎস ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। শিগগিরই এ বিষয়েও তাদের চাপ আসছে বলে মনে করছেন পোশাক খাত-সংশ্লিষ্টরা। অপরদিকে দীর্ঘদিন থেকেই পণ্যের দাম নিয়ে চাপে রয়েছে পোশাক খাত। ব্যয়ের অনুপাতে বায়ারদের কাছ থেকে সঠিক দাম পাচ্ছে না। কয়েক দিন আগেও তৈরী পোশাকের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আর এসব সমস্যার মধ্যে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে। এখনো অনেক কারখানা গত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে পারেনি। তাই চলতি মার্চের বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদান নিয়ে বিপাকে আছে খাত-সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে পোশাক শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তবে বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো বেঁধে দেননি তিনি। আর ঈদের আগে নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী ২০ রোজার মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস; ছুটির টাকা এবং ঈদের আগে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এছাড়া এ বছর ঈদ মাসের মাঝামাঝিতে এই সময়ের আগে স্বাভাবিকভাবেই বেতন হয়ে যায়। তাই যথাসময়ে বেতন-বোনাস প্রদানের দাবিতে আগামী শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে বিসিকের সামনে মানবন্ধন করবে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন বলে জানিয়েছে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা। আপাতত বিভিন্ন জেলা কমিটির মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, এখনো অনেক কারখানার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিসহ কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাই যথাসময়ে বেতন-বোনাস না হলে কেন্দ্রীয়ভাবে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগেই অবহিত করা হয়েছে শিল্প মালিকদের। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মতির কথাও জানিয়েছেন তারা। তবে ঈদের আগে বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে সমস্যা হতে পারে এমন ৪১৬টি কারখানা চিহ্নিত করা হয়েছে। শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী শিল্প পুলিশ এ কারখানাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যথাসময়ে বেতন-বোনাস দিতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
সূত্র মতে, গাজীপুরসহ আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও উত্তরার বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রয়েছে। কোনো কোনো কারখানায় তিন-চার মাসের বেতনও বকেয়া পড়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও এখনো অনেক কারখানা এই মজুরিও দিচ্ছে না। বরং বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুরের টিআরজেড, সাদাত আউট ওয়্যারসসহ অনেক কারখানায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন চলছে। মালিকপক্ষ লোকসানে থাকার অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করছে না। অথচ শ্রমিকদের দিয়ে দিন-রাত ওভারটাইম করানো হচ্ছে। টার্গেট পূরণের নামে বাড়তি উৎপাদনের চাপ দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেছেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক কারখানায় এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনই পরিশোধ করেনি। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় কোনো উদ্যোগ দেখছি না।
শিল্পাঞ্চলগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধসংক্রান্ত বিষয়ে রাজধানীর উত্তরায় গত সোমবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তৈরী পোশাক ও বস্ত্র খাতের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন। বেপজা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।
সভায় বিভিন্ন কলকারখানার বেতন পরিশোধের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করে গোলযোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন কারখানাগুলো চিহ্নিত করা হয়। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ করা হয়। মালিকদের প্রতি ঈদ বোনাস এপ্রিলের শুরুতে দেয়া এবং ঈদের ছুটির আগেই মার্চের বেতন পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়।
আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটÑ এ আট শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬৭। এর মধ্যে বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে সমস্যা হতে পারে এমন কারখানা রয়েছে ৪১৬টি। শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৯। এর মধ্যে বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে এমন কারখানা ১৭১টি। শিল্প এলাকায় তৈরী পোশাক খাতের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে ৬২৮টি। এর মধ্যে সমস্যা হতে পারে এমন কারখানা আছে ৭১টি।
আট শিল্প এলাকায় বস্ত্র খাতের সংগঠন বিটিএমএর সদস্য কারখানা রয়েছে ৩৫৬টি। এর মধ্যে সমস্যা হতে পারে এমন কারখানা ২৯টি। রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেপজার আওতাধীন ৩৮৩টি কারখানার মধ্যে সমস্যা হতে পারে এমন কারখানার সংখ্যা ১৩। শিল্প এলাকাগুলোয় কোনো সংগঠনের আওতাভুক্ত নয় এমন কারখানার সংখ্যা ৬ হাজার ৫১১। এর মধ্যে সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে ১৩২টিতে।
সভায় শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গার্মেন্ট মালিক বেতন-ভাতা দিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প উপায় বের করার অনুরোধ জানানো হয়। বলা হয়, মালিক-শ্রমিক সমঝোতার ভিত্তিতে যেন ঈদের ছুটি নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঈদের আগে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো অবস্থায়ই শ্রমিক ছাঁটাই বা লে-অফ না করার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়।
ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাকে কেন্দ্র করে কোনো অপশক্তি যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। ঈদের ছুটির সময় ফাঁকা কলকারখানা অধ্যুষিত এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিশেষ টহল ডিউটির ব্যবস্থা থাকবে বলেও সভায় জানানো হয়। এছাড়া ঈদের সাত দিন আগে থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম ও হটলাইন সচল থাকবে।
সভায় ঈদ উদযাপনের আগেই সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে শিল্প শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান। তিনি বলেন, মালিকরা যদি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা যথাসময়ে পরিশোধ করেন তাহলে শিল্প সেক্টরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকবে এবং আমাদের মহাসড়কগুলো নিরাপদ থাকবে।
তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব সদস্য মাঠ পর্যায়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সভায় শিল্পাঞ্চল পুলিশের সব জোনের পুলিশ সুপাররা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের শিল্প-কারখানার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, অনেক সংকট রয়েছে। তিনি কম ক্রয়াদেশ, উচ্চ সুদের হার এবং মুল্যাস্ফীতির বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লেও ঠিকমতো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হওয়া মানে সময়মতো বেতন না পাওয়া এবং বেতন-বোনাস দিতে সমস্যা হওয়া। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রণোদনা বাবদ প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদের আগে এই টাকা ছাড় করা হলে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া সহজ হবে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদে বেতন-বোনাস প্রদান মালিকদের জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। সভায় বিজিএমইএর নির্বাচিত সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব জানান, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য আরেকটি কঠিন বছর। অনেকেই হয়তো এটা দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু এখন ভালো কারখানার মালিকরাও সমস্যায় পড়েছেন। তিনি বলেন, কারখানা মালিকরা বেতন-বোনাস বকেয়া রাখতে চান না। আর এ জন্য সব পক্ষের পারস্পরিক সমন্বয়ের বিকল্প নেই।ইনকিলাব