ডেস্ক রির্পোট:- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, পবিত্র মাহে রমজান আত্মশুদ্ধি, সাম্য, সহমর্মিতা ও মানবীয় গুনাবলী সৃষ্টির আহবান নিয়েই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান মুসলিম উম্মাহর দ্বারপ্রান্তে হাজির হয়েছিলো। কিন্তু সরকারের ইসলামবিদ্বেষী কর্মকান্ডে রমজানের শিক্ষা স্থান করে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রমজান বিষয়ক অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকারের কর্মকান্ডে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব ক্রমেই প্রকাশ হচ্ছে। সম্প্রতি মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে বেশকিছু ঘটনা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা বিরোধী হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইফতারে নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজান বিষয়ক অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি, ঢাবিতে কোরআন শিক্ষার ক্লাসের জন্য শোকজ, ঢাবিতে এবং ফেনীতে রোজাদারদের উপর ছাত্রলীগের হামলা এবং ইফতারের বরাদ্দ বাতিল। এসব কর্মকান্ডের পর সরকার নিজেকে কিভাবে ইসলামের পক্ষের শক্তি হিসেবে পরিচয় দিবে? ইসলামী আন্দোলনের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামী বিধি-বিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান থেকে ফিরে না আসলে ঈমানদার দেশপ্রেমিক জনতা সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।
মুফতী রেজাউল করীম পীর সাহেব বলেন, মুসলিম জাতীয় ঐতিহ্য চেতনায় এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনে রমজান অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই রমজান কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন শিক্ষার ক্লাসে নিষেধাজ্ঞা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। দিনভর রোজা পালনশেষে ইফতারের মাধ্যমে মুসলিম ও ইসলামী সংস্কৃতি ফুটে উঠে। একসাথে ইফতারের মর্যাদা বুঝার শক্তি ইসলামবিদ্বেষী শক্তির নেই। তাই তারা এতে আতঙ্কিত হয়ে কাপুরোষিত হামলা করে।
পীর সাহেব হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এই রমজান মাস পাওয়ার পরও যারা নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেনি, তাদেরকে আল্লাহর হাবীব (সা.) অভিশপ্ত করেছেন। তিনি বলেন, তাকওয়ার গুনে গুনান্বিত হয়ে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ১০ম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন।