ডেস্ক রির্পোট:- গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে আরও দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হলো। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মারা যান ২১ বছরের ইয়াসিন আরাফাত। এর কিছুক্ষণ পরে মারা যান ২২ বছরের মশিউর আলী।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইয়াসিন আরাফাতের শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউর ১৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। এরপর কিছুক্ষণ পর মারা যান মশিউর। তার শরীর পুড়েছিল ৬০ শতাংশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
দগ্ধদের মধ্যে গত ১৫ মার্চ প্রথম মারা যান সোলাইমান মোল্লা। পরদিন ১৬ মার্চ মৃত্যু হয় ৪৫ বছর বয়সী মনসুর ও ৩ বছর বয়সী তৈয়বা নামে এক শিশুর। এরপর রবিবার ভোরে আরিফুল ইসলাম নামে ৩৮ বছর বয়সী একজন ও সকাল পৌনে ৭টায় ২৫ বছর বয়সী মহিদুল খানের মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় মারা যান মাহিদুলের স্ত্রী নার্গিস আক্তার (২২)।
রবিবার রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে গোলাম রাব্বী (১১), সোলাইমান (৯), জহিরুল ইসলাম (৪০) ও মোতালেব (৪৮) মারা যান। আর সোমবার সন্ধ্যায় মারা যায় ৭ বছর বয়সী তাওহীদ।
গত ১৩ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৬ জন দগ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় শফিক খানের বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ওই বাড়ির রান্নাঘরে শ্রমিকরা রান্না করছিলেন। ইফতারের আগ মুহূর্তে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে একটি পরিবারের সিলিন্ডারের গ্যাস ফুরিয়ে যায়। নতুন সিলিন্ডারে সংযোগ দেওয়ার সময় সেটিতে আগুন ধরে যায়। এরপরই ওই ৩৬ জন দগ্ধ হন।