আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দিয়েছেন বিজয়ী ভাষণও। বুথ ফেরত জরিপও বলছে, বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করতে যাচ্ছেন তিনি। সোভিয়েত পরবর্তী যুগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমন ভূমিধস জয় আর দেখা যায়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাবলিক অপিনিয়ন ফাউন্ডেশনের (এফওএম) বুথফেরত জরিপ বলছে, কেজিবির গোয়েন্দা কর্মকর্তা থেকে প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া ৭১ বছর বয়সী পুতিন ভোট পেয়েছেন ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (সিইসি) এখন পর্যন্ত যা জানিয়েছে- তা বুথফেরত জরিপের ফলকে সমর্থন করছে।
সিইসির ওয়েবসাইটের সবশেষ তথ্য মোতাবেক, এখন পর্যন্ত ৫০ দশমিক ২ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ভ্লাদিমির পুতিন পেয়েছেন ৮৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খারিতোনভ পেয়েছেন ৪ দশমিক ১১ শতাংশ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভ্লাতিস্লাভ দাবানকোভ পেয়েছেন ৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। লিওনিদ স্লুৎস্কি পেয়েছেন ৩ দশমিক ১১ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে জয়লাভ করায় পঞ্চম মেয়াদে পরবর্তী ৬ বছর পুতিন আবারও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। মেয়াদপূর্ণ করতে পারলে তিনি গত ২০০ বছরে রাশিয়ার ইতিহাসে টানা সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা জোসেফ স্টালিনকেও ছাড়িয়ে যাবেন।
মস্কোতে দেওয়া বিজয়ী ভাষণে পুতিন তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানসংক্রান্ত কাজগুলোকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে তিনি কাজ করবেন। এ সময় সমর্থকরা পুতিন, পুতিন ও রাশিয়া, রাশিয়া বলে চিৎকার করছিল।
ক্রেমলিন তিন দিনের এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারাদণ্ড ও সেন্সরশিপের আরোপের কারণে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলার সুযোগ নেই। যদিও নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেউই অনিয়মের কোনো অভিযোগ তুলেনি। সূত্র : তাস/রয়টার্স