ডেস্ক রির্পোট:- পবিত্র রমজান মাসে সারা দিন না খাওয়ার মাধ্যমে সংযম ও আত্মশুদ্ধির চর্চা করে থাকেন বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম। মাসটির তাৎপর্য ও আত্মিক উৎকর্ষ অনুধাবন করে অনেক অমুসলিমও এ মাসে সিয়াম সাধনা করেন। তবে তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। তেমনি একজন হিন্দু তরুণী নীলাম গোকুলসিং।
রমজানের সময় খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থেকে নিজের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা, শৃঙ্খলা ও সংকল্প নিয়ে আরও দৃঢ় থাকার শিক্ষা গ্রহণ করেন নীলাম গোকুলসিং। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মরিশাসের এই নাগরিক প্রথমে মুসলিম বন্ধুদের দেখে রোজা পালন শুরু করেন। তারপর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে রোজা রাখা শুরু করেন তিনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা যায়।
২০২১ সালে প্রথম রোজা রাখা শুরু করেন নীলাম। সে সময় মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার জন্য যান তিনি। খালিজ টাইমসকে নীলাম জানান, মালয়েশিয়া মুসলিমপ্রধান দেশ। ২০২১ সালে তিনি সেখানে থাকার সময় রোজা রাখা শুরু করেন। মালয়েশিয়ায় তার অনেক মুসলিম বন্ধু-বান্ধব রয়েছে। সেখানে তাদের সঙ্গে তিনি সেহরি ও ইফতার করতেন। মূলত হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম বন্ধুদের সংস্কৃতিকে বোঝা ও একাত্মতা প্রকাশের জন্যই তিনি রোজা রাখা শুরু করেন।
২৬ বছর বয়সী নীলাম বর্তমানে কাজ করছেন একটি ফিনটেক কোম্পানিতে। দুই বছর আগে কাজের সূত্রে আরব আমিরাতের দুবাইতে আসেন তিনি। প্রবাসী এ তরুণী জানান, দুবাইতে এসেও তিনি নিয়মিত রোজা রাখেন। কারণ তার আশপাশের সবাই পবিত্র এই মাসে রোজা রাখেন। খালিজ টাইমসকে নীলাম জানান, খাবার ও পানি পান করা ছাড়া কাজ করা কতটা কঠিন তিনি রোজার মাধ্যমে সেটি অনুধাবন করেন।
হিন্দু এ তরুণী জানান, প্রথমে কৌতূহলবশত রোজা রাখা শুরু করলেও এখন রোজা তার কাছে একটি নতুন জিনিস। নীলামের মতে রোজার মাধ্যমে উপবাসের আধ্যাত্মিক দিকটি উপলব্ধি করা যায়, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত পরিশুদ্ধি ও সংযম সম্পর্কিত মূল্যবোধগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারে। তার মতে, এটি একটি যৌথকাজের মতো যেখানে নিজের সম্পর্কে সব ধরনের মূল্যায়ন আবিষ্কার করা যায়।