কলকাতা:- বাড়িতে পা পিছলে পড়ে যাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে পেছন থেকে ধাক্কা মারা হয়েছে, এ কারণে তিনি হুমড়ি খেয়ে পড়ে রক্তাক্ত হয়েছেন—এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিকিৎসকের এমন বক্তব্যের পর কৌতূহল তৈরি হয়েছে সর্বমহলে। কে, কেন মুখ্যমন্ত্রীর বেডরুমে ঢুকে ধাক্কা মারলো। ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা লেগেছে, তাই নিয়ে ছড়িয়েছে আলোচনার ডালপালা।
মুখ্যমন্ত্রীর জেড প্লাস নিরাপত্তা রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে তার নিরাপত্তা নিয়েও। হাসপাতাল থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী ঘুমাচ্ছেন। এ কারণে ভোর থেকে তদন্ত চালাতে পারে পুলিশ।
চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পেছন থেকে ধাক্কা লাগার ফলে পড়ে যান মমতা। তার কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাই গল গল করে রক্ত পড়ছিল। কপালে তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই পড়েছে। তার সেরিব্রাল কনকাশন ছিল (মাথায় আঘাতের ফলে ব্যথা)। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের তরফে বলা হচ্ছে, তার বেডরুমে কেউ ছিল না। তাকে ধাক্কা মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মমতার বাসভবন সূত্রে জানা গিয়েছিল, অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরে পা পিছলে বাড়ির শোকেসে মাথায় আঘাত লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। তাতেই রক্তক্ষরণ হয়।
রাত ১০টা নাগাদ জানা গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তাকে হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঙ্গে ছিলেন ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ভালো আছেন। তার মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি গেলেন মমতা, অবস্থা স্থিতিশীল—
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাকে হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সঙ্গে ছিলেন ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ভালো আছেন। তার মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পড়ে গিয়ে কপালে চোট লেগেছে মুখ্যমন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মমতার বাসভবন সূত্রে জানা গিয়েছিল, অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরে পা পিছলে বাড়ির শোকেসে মাথায় আঘাত লাগে। তাতেই রক্তক্ষরণ হয় ৭১ বছর বয়সী মমতার।
এরপরই তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ ভর্তি রাখা হয় হাসপাতালের ভিআইপি ওয়ার্ডের উডবার্ন কেবিনে।
এরপরই সিটি স্ক্যানসহ একাধিক পরীক্ষা করা হয় তার। কিছুক্ষণ পর হুইল চেয়ারে করে বের করা হয় হাসপাতাল থেকে। গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তার কালীঘাটের বাড়িতে। মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। তার মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে।