ডেস্ক রির্পোট:- প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দা এই নির্দেশ দেন।
রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিমের দায়ের করা প্রতারণার মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।
আজ মামলার তারিখ ধার্য ছিল এবং পরোয়ানা জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাসেল-শামীমা আদালতে হাজির না হওয়ায় বাদী পক্ষে সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন জানানো হয়। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সম্পত্তি ক্রোকসহ দুজনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার একটি বাইক অর্ডার করে মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর ক্রয়কৃত মোটরসাইকেল যথাসময়ে অর্থাৎ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করতে ব্যর্থ হলে ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে মোটরসাইকেলের ক্রয়বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক প্রদান করেন। চেকটি নগদায়নের জন্য ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করে।
চেকের অর্থ পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে। পরবর্তীতে ওই চেক নগদায়ন করার জন্য ফাহিম ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা তাকে টাকা প্রদান করতে আজ-কাল করে অযথা কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান।
ফাহিমের অভিযোগ, তারা অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণামূলকভাবে তার ক্রয়কৃত মোটরসাইকেলের টাকা আত্মসাৎ করার মানসে এমন কাজ করেছেন।