ডেস্ক রির্পোট:- জনসমর্থন থাকলেও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই সরকার পতনের একদফার আন্দোলনে চূড়ান্ত সফলতা আসেনি বলে মনে করে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির সদস্যদের অভিমত, দলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে তাদের জনসমর্থন রয়েছে। কিন্তু শক্তিশালী সংগঠন না থাকায় মাঠে বড় জমায়েতের কর্মসূচি পালিত হয়নি। এতে করে আন্দোলনের ফসলও ঘরে তুলতে পারেনি দলটি। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্রিয় ও যোগ্যদের দিয়ে সংগঠন পুনর্গঠন করতে হবে। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিগত আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতার পর্যালোচনায় নেতারা এমন অভিমত দেন বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আলোচনার এক পর্যায়ে বিগত আন্দোলন ও পুনর্গঠনের বিষয়টি সামনে আনেন স্থায়ী কমিটির এক সদস্য। তার দাবি, নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে বিএনপির ব্যাপক জনসমর্থনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও শুধু সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণেই তারা আন্দোলনের ফসল ঘুরে তুলতে পারেননি। তাই এখন আন্দোলনে ব্যর্থ ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ভেঙে দিয়ে রাজপথে থাকা সক্রিয় নেতাদের সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্বে সংগঠন সাজাতে হবে। এ সময় অন্যরাও স্থায়ী কমিটির ওই সদস্যের বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেন। তবে বৈঠকে নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনের কথা বলা হয়নি।
দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে আন্দোলনে ব্যর্থতা ও পুনর্গঠন নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এই অভিমত-পরামর্শ শোনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।