ড. ইউনূসের অফিস দখল নিয়ে যা জানাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও আলোচনা উঠেছে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে। এর আগে শুধু তার মামলার বিষয়টি আসলে এবার উঠে আলোচনা হয়েছে সম্প্রতি ড. ইউনূসের অফিস দখল নিয়ে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি, স্থানীয় সময়) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

সাংবাদিক তার প্রশ্নে বলেন, সোমবার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়- ২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির একটি দল নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস দখল করেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার একতরফাভাবে সংসদ, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এখন গ্রামীণের মতো সংস্থাকেও নিয়ন্ত্রণে নিল। এই পরিস্থিতিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

জবাবে, মিলার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমি বলব- আমরা লক্ষ্য করেছি শ্রম মামলাটি অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বিচারকাজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আরও মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে।

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি (স্থানীয় সময়) পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূসকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ড. ইউনূসের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করব, এটাই আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) আশা করি। কারণ, (শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলায়) আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

বেদান্ত প্যাটেলকে করা প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর আরেক ব্যক্তি। আদালতের আরেকটি আদেশে তার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষমতা সীমিত করছে সরকার। ১২৫ জন নোবেলজয়ীসহ ২৪৩ জন বিশ্বনেতাদের একটি জোট মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ জন দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটর সব হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে দেখছে?

ওই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র আরও বলেন, অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) উদ্বেগ প্রকাশ করছি, ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর উপায় হিসেবে এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করছি, এসব মামলা ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমরা চিন্তিত যে শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অপব্যবহার আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আপিল চলমান থাকায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions