ডেস্ক রির্পোট:- রাজশাহীতে এক নারীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য ধারণের অভিযোগে একই পরিবারের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। নগরীর অভিজাত পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় র্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৫-এর সিইও লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌসা।
আটকরা হলেন, নগরীর হেতেমখান সবজিপাড়া এলাকার আলমগীর ওরফে রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), হেলেনার বোন দিলারা বেগম (৩৫) এবং তাদের সহযোগী মমতাজ বেগম (৪২)।
র্যাবের দাবি, এই চক্রটি প্রায় দুই বছর ধরে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ভিডিও করে টাকা হাতিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে কৌশলে নারীদের ধর্ষণ করতেন মো. আলমগীর ওরফে রয়েল। আর গোপনে সেই ধর্ষণের ভিডিও করে রাখতেন স্ত্রী হেলেনা খাতুন। একইভাবে হেলেনা ও তার দুই বোনও ফাঁদে ফেলে পুরুষদের বাসায় নিতেন। জড়াতেন শারীরিক সম্পর্কে। তখন ভিডিও করতেন হেলেনার স্বামী আলমগীর।
লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌসা জানান, রয়েল এবং ভুক্তভোগী নারী একে অপরের পূর্বপরিচিত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কোর্ট স্টেশনের দিকে আসেন এক নারী। এ সময় তিনি তার মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেন। তখন রয়েল মোবাইল খুঁজে দেওয়ার নামে তার ভাড়া বাড়িতে ডেকে আনেন ওই নারীকে। পরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। আর সেই দৃশ্য রয়েলের স্ত্রী হেলেনা মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এরপর ভুক্তভোগী ওই নারীকে সেই ভিডিও দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে রয়েল ও তার সঙ্গী তিন নারী। ভুক্তভোগী সেখানে তাদের একটি স্ট্যাম্পে সই দিয়ে কোনোমতে বাড়ি ফেরেন। পরে চন্দ্রিমা থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব-৫-এর টিম ওই মামলায় সম্পৃক্ত হয় এবং বৃহস্পতিবার এ চক্রটিকে আটক করে। পদ্মা আবাসিক এলাকায় অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযানের পর সেখান থেকে দলিল ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছে র্যাব।