ডেস্ক রির্পোট:- অনেক নাটকের পর বহুল আলোচিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। রাত সোয়া ৮টায় শেষ হওয়া ফাইনালের ভাগ্য জানতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে দর্শকদের।
বৃহস্পতিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র হওয়ার পর ১১-১১ শটেও মীমাংসা হয় না খেলা। এর পরই শুরু হয় মহানাটক।
টাইব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৫টি করে পেনাল্টির পরও যদি অমীমাংসিত থাকে, তাহলে সাডেন ডেথে দুই দল একটি করে পেনাল্টি শট নিতে থাকে। এটি চলতে থাকে যতক্ষণ ফল নির্ধারিত না হচ্ছে, ততক্ষণই। এটাই আন্তর্জাতিক নিয়ম। সারা দুনিয়াতে ফুটবলের অমীমাংসিত টাইব্রেকারে এভাবেই ফল নির্ধারিত হয়।
কিন্তু এদিন কমলাপুরে হলো অন্য কিছু। শ্রীলঙ্কার ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়া দিলান হঠাৎ করেই শিরোপা নির্ধারণে টস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই টসে জিতে সাফ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে ভারত।
তবে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা রেফারি আর ম্যাচ কমিশনারের কাছে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পরে ম্যাচ কমিশনারের নতুন ঘোষণা-টস করাটা তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আবারও সাডেন ডেথ হবে। এই ঘোষণায় ভারত বেঁকে বসে। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পুরো দল মাঠ ত্যাগ করে।
ম্যাচ কমিশনার জানান তাদের জন্য অপেক্ষা করা হবে ৩০ মিনিট। এরপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সিদ্ধান্ত আসে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় পরে। এতে দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
তবে সেই টস যে শিরোপা নির্ধারণের জন্য ছিল, তা জানতেনই না বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম পুনরায় শট হবে এজন্য টস। আমাদের এই ব্যাপারে (শিরোপা নির্ধারণের) কিছুই বলা হয়নি। আমি টসের জন্য গিয়েছিলাম শুধু।’
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, টুর্নামেন্টের বাইলজে নেই এ রকম টস। ফলে আমরা টস মানব কেন? তাছাড়া আমরা শিরোপা নির্ধারণী টস নিয়ে জানতামও না। আমরা সব দল টুর্নামেন্টের নিয়ম মেনে খেলতে এসেছি। টসের মাধ্যমে শিরোপা জয় কখনোই ছিল না।