বেনাপোল;- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত বিজিবির সদস্য রইস উদ্দিনের মরদেহ বেনাপোলের শিকারপুর বিজিবি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
ঘটনার ২ দিন পর আজ সকাল ১১ টায় বিএসএফ কল্যাণী সদর দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে বিজিবি যশোর রিজিওনের কর্মকর্তার নিকট লাশটি হস্তান্তর করেন। এ সময় ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল জামিলসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার (২২ জানুয়ারী) ভোর রাতে গরু পাচারে সহায়তার অভিযোগে বেনাপোলের অদূরে ধান্যখোলা গ্রামের মাঠে বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনকে গুলি করে আহত করে বিএসএফ। তাকে চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২ টার দিকে মারা যান রইস উদ্দিন। নিহত রইস উদ্দিনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল থেকে ৬ কি.মি. উত্তরে ধান্যখোলা গ্রামের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভোরে ভারত থেকে গরু পাচারের বিষয়টি টের পেয়ে বিএসএফ চোরকারবারিদের ধাওয়া করে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি’র সদস্য সিপাহী রইস উদ্দীন বিএসএফ সদস্যদের দেখে সামনে এগিয়ে যান। ঘটনার সময় রইস উদ্দীন সাদা পোশাকে ছিলেন।
রইস উদ্দীন বিএসএসফ সদস্যদের কাছে নিজেকে বিজিবি সদস্য পরিচয় দেন এবং ঘটনার ব্যাপারে জানতে চান। পরিচয় পাওয়ার পরও বিএসএফ সদস্যরা রইস উদ্দীনকে গুলি করে আহত করে। এরপর আহত রইস উদ্দিনকে ভারত সীমান্তের ভেতরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
ভারতের বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ২টার দিকে রইস উদ্দীনের মৃত্যু হয় বলে সন্ধ্যার দিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, তারা ভোর বেলায় অন্তত ১৫/২০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন। পাচার হওয়া দুটো গরুকেও বিজিবি ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
বিএসএফ কর্তৃক বিজিবি’র এক সদস্য হত্যার খবর পেয়ে বিজিবির দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিওয়ন কমান্ডার ও যশোর ব্যাটালিয়নের সিইও লে. কর্নেল জামিল হোসেন নিহতের লাশ ফেরতের জন্য বিএসএফের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে এক বিশেষ পতাকা বৈঠকে আজ সকালে লাশটি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়।