ডেস্ক রির্পোট:- সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে আইফোন উপহার নেওয়ার তথ্য গোপন করেছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন। এটিসহ আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গের তিনটি অভিযোগও মেনে নিয়েছেন তিনি। ফলে আইসিসি দুর্নীতির দায়ে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দুই বছরের জন্য তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল নাসিরের শাস্তির কথা জানায় আইসিসি। ফলে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকবেন নাসির।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন নাসির। টুর্নামেন্ট চলাকালে সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার গ্রহণ করেছিলেন। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী টিমের কাছে উপহারের কোনো রসিদ দেখাতে পারেননি তিনি। যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি। নাসির তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির তিনটি অভিযোগ স্বীকার করেছেন। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.৩ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে নিষিদ্ধও হয়েছেন নাসির। সে ধারায় আইসিসি মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের ‘আইফোন ১২’-এর রসিদ দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। আইসিসির ২.৪.৪ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি পেয়েছেন নাসির। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ১৯ টেস্ট, ৬৫ ওয়ানডে এবং ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নাসির। ২০১১ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর তাকে সম্ভাবনাময় ভাবা হয়েছিল; কিন্তু দুর্নীতি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ মাঠের বাইরের নানা অক্রিকেটীয় কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি নাসির। অনেক আগেই তিনি জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন। এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকেও ছিটকে গেলেন।