রাঙ্গামাটি:- শীত মৌসুমেও রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের বাম্পার আহরণ হয়েছে। ছাড়িয়েছে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড। বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের মাছের উৎপাদন। এমন তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশ (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপনী কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আসরাফুল আলম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছের রাজস্ব আদায় হয়েছে দ্বিগুণ। মাত্র ১৩৫ দিনে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করা হয় প্রায় ৫ হাজার ৮১৪ মেট্টিক টন। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে, ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এভাবে মাছ উৎপাদন অব্যাহত থাকলে এ বছর রাজস্ব আয় অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএফডিসির পরিসংখ্যা মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদকে চারটি অংশে বিবক্ত করে মাছ আহরণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, মহালছড়ি, মারিশ্যা। এসব চিহ্নিত জোন থেকে মাছ আহরণ করে নিয়ে আসা হয় রাঙ্গামাটির ফিসারীঘাটে। সেখানে রাজস্ব আদায় করে রপ্তানি করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার রাঙ্গামাটি সদর থেকে মাছ আহরণ হয় ১০২১২, কাপ্তাই থেকে ৭৬৭০, মহলছড়ি থেকে ৮৯৮, মারিশ্যা থেকে ৮৫০ মেট্টিক টন মাছ। এর মধ্যে ছিল বেশিরভাগ চাপিলা, কাচকি, চিংড়ি ও কার্প জাতীয় মাছ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ। যা দেশের মিঠা পানির মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এ হ্রদ থেকে আহরিত মাছ রপ্তানি করা হয় চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। যার সুফল ভোগ করে এ অঞ্চলের ২৬ হাজার মৎস্যজীবী। বন্ধকালীন সময়ে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন হয়েছে চাহিদার অধিক। তাই উৎপাদনও হচ্ছে ব্যাপক। সরকারের রাজস্ব খাতে যেমন আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি দেশে মিঠা পানির মাছের চাহিদাও মিটছে, আর লাভবান হচ্ছে মৎস্যজীবীরা।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই দিন চমক থাকলেও বেশির ভাগ সময় মাছের ভান্ডার শূন্য থাকে। তাই এমন আহরণে খুশি নয় মৎস্যজীবীরা। সঠিক তদারকি আর মাছের প্রজনন অব্যাহত রাখতে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদ রক্ষা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ প্রতিদিন