শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি শেখ মুজিব দেশে ফ্যাসিবাদের জনক : মির্জা ফখরুল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে পিটুনি

প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে গলা কেটে খুন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৯৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ময়মনসিংহের গফরগাঁও পাগলা থানার গয়েশপুর বাজারে বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ (৫৫)কে প্রকাশ্য দিবালোকে গলা কেটে, কুপিয়ে খুন করেছে রুবেল নামে কুখ্যাত এক সন্ত্রাসী। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়ন শাখা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ পেশায় হোমিও চিকিৎসক। গয়েশপুর বাজারে ‘ফিরোজা হোমিও হল’ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।

নিহতের স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত হারুন অর রশিদের ছোটভাই তৎকালীন পাইথল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামরুল মেম্বারকে ২০১৩ সালে ঘাতক রুবেল গয়েশপুর বাজারে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল নিহত বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ। দুপুর ১২টার দিকে নিহত হারুন ডাক্তার তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে কাওরাঈদ-গয়েশপুর ফুটব্রিজের নিচে কামালের চা স্টলে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় বড় একটি রামদা নিয়ে ঘাতক রুবেল অকর্কিত তার উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে হারুন ডাক্তার ১০০ গজ দূরে তার বাসার দিকে দৌড় দেয়।

দৌড়ে ৫০ গজ দূরে সনি সিনেমা হলের সামনে গিয়ে পড়ে যায় হারুন ডাক্তার। ওই সময়ে রামদা দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে, গলা কেটে হারুন ডাক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত করে গয়েশপুর বাজারে অবস্থিত তার বাসায় চলে যায় ঘাতক রুবেল। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে। আত্মরক্ষার্থে রুবেল তার নিজ বাড়িতে আগুন দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দেয়। রুবেলের মা বিউটি আক্তার রুবেলকে বাঁচাতে এলে বিউটি আক্তারও গণপিটুনির শিকার হন। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পাগলা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। নিহত হারুন অর রশিদের ভাই কামরুল মেম্বার বলেন, বখাটে নেশাগ্রস্ত রুবেল মাদক কারবারি ও কুখ্যাত ডাকাত। অনেক নারীকে সে ধর্ষণ করেছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে সে প্রকাশ্যে খুন করেছে। আমাকেও খুন করতে চেয়েছিল।

এ ব্যাপারে পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়মনাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions