ডেস্ক রির্পোট:- কোনো অপরাধে সাজা খেটে ফেলার পরও প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা না করে কারাবন্দি রাখা হয়েছে, এমন সাজাপ্রাপ্ত বিদেশিদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ১০ মার্চের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে তালিকা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সাজা খাটা শেষ হওয়ার পরও ভারতীয় কারাবন্দি গোবিন্দ উড়িয়াকে কারামুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ মার্চ তারিখ রেখেছেন আদালত।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর থানার বাসিন্দা গোবিন্দ উড়িয়াকে (২৬) আটক করেন বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যরা। ওই দিনই আটক ব্যক্তিকে শ্রীমঙ্গল থানায় সোপর্দ করে তার নামে মামলা করে বিজিবি।
বিচার শেষে দোষ স্বীকার এবং অতীতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ না থাকায় আদালত গোবিন্দ উড়িয়াকে দুই মাস ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইতিপূর্বে মামলা সংশ্লিষ্টতায় হাজতবাস করে থাকলে ওই হাজতবাসকালীন সময় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-ক ধারা অনুসারে বাদ যাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
সে অনুসারে রায়ের দিন অর্থাৎ ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত গোবিন্দ উড়িয়া চার দিন বেশি হাজতবাস করে ফেলেছেন।
এ রায়ের পর দুই বছর কেটে গেলেও কারাগার থেকে ছাড়া না পাওয়ায় গোবিন্দ উড়িয়াকে নিয়ে প্রতিবেদন করে একটি টেলিভিশন চ্যানেল।
ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে গত ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। সাজা ভোগ করা কারাবন্দি গোবিন্দ উড়িয়ার কারামুক্তি ও তার প্রত্যাবাসনের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিটে।