শিরোনাম
ভ্যানে লাশের স্তুপ করা ভিডিও আশুলিয়া থানা রোডের নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর পদে এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি নয়, হেফাজতসহ ৬ ইসলামি দলের প্রস্তাব সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া উপায় নেই: আলী রীয়াজ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা কলেজের হিসাব শাখায় রহস্যজনক আগুন! রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি আবারো বেড়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ-বিপনন খাগড়াছড়িতে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ বেতবুনিয়া থেকে ধাওয়া করে রাউজান এনে মারা হলো শ্রমিক লীগ নেতাকে ছাত্র–জনতার ধাওয়া খেয়ে পোশাক খুলে পালিয়ে গেল আনসার সদস্যরা

পাহাড়ে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৩ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- পাহাড়ে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার। দামে কম, মানে ভালো। এমন কাপড়ের দোকানে জমছে ভিড়। ক্রেতাদের চাহিদা মতো দোকানিরা পসরা সাজিয়েছেন বাহারি ডিজাইনের আকর্ষণীয় কাপড়ের। কাপড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মৌসুমেই কোটি টাকা আয় হয় এ শীতের কাপড় বিক্রি করে।

রাঙ্গামাটি শহর ঘুরে দেখা গেছে, রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়কে বসেছে শীতবস্ত্রের হাট। বেশিরভাগ ভাসমান দোকানে আনা হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের হকার্স মার্কেটের কম দামের কাপড়। সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার টাকায় মিলছে ছোট বড় সব বয়সের নারী-পুরুষের গরম কাপড়। ক্রেতাদের চাহিদাও অনেক বেশি এসব কাপড়ের।
রাঙ্গামাটি বনরূপা হকার্স ব্যবসায়ী মো. হান্নান বলেন, শুধু শীত মৌসুমে কাপড়ের ব্যবসা হয়। পাহাড়ি অঞ্চলে শীত বেশি। তাই শীতবস্ত্রের চাহিদাও বেশি। এক মৌসুমে আয় করা যায় কোটি টাকা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে কাপড় ব্যবসা। রাতদিন চলছে বেচাবিক্রি। রাঙ্গামাটিতে আলাদা হকার্স মার্কেট না থাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের নির্ভর থাকতে হয়, এসব অস্থায়ী শীতবস্ত্র দোকানের উপর।

অন্যদিকে পাহাড়ে যতই শীতের তীব্রতা বাড়ছে, ততই বাড়ছে শীতবস্ত্রের চাহিদা। তাই চাহিদা পূরণ করতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ঘরে বসে তৈরি করছেন কোমর তাঁতের শীতবস্ত্র। বাহারি ডিজাইনের আকর্ষণীয় সব বস্ত্র ক্রেতাদের যেমন দৃষ্টি কেড়েছে, তেমনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। এ ছাড়া এসব শীতবস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে পর্যটন শহর কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, চট্টগ্রাম পতেঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। দামও সহনীয় থাকায় বেচা-বিক্রিও হচ্ছে জমজমাট। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় অর্থাৎ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা নারীরা ঘরে বসে কোমর তাঁতে তৈরি করছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিভিন্ন শাল, চাঁদর, সুইটার, মাফলার। কোমর তাঁতে এসব কাপড় তৈরি করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে তাদের।

কোমর তাঁতী মিনতি চাকমা বলেন, পরিশ্রম যেমন আছে, তেমনি লাভও আছে এ ব্যবসায়। এ শীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বমশাল। কারণ বমশাল খবুই আরামদায়ক। আর মগমলে তৈরি এ শাল দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। প্রতিটি শাল ৬০০ থেকে ১,০০০ টাকা। চাদর ৩০০ থেকে ৫০০ ও সুয়েটার ৭০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী অঞ্জনা চাকমা বলেন, শীতে রাঙ্গামাটিসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে অনেক পর্যটক আসে। স্থানীয়রা তো ক্রয় করে। পাশাপাশি পর্যটকরাও সাথে করে নিয়ে যায়। তাই শীত আসলে জমজমাট বেচা-বিক্রি হয় শীতবস্ত্র। হাটের চেয়ে এসব কোমর তাঁতে তৈরি শীতবস্ত্র এখন অনলাইনেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংদেশ প্রতিদিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions