
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা দুই হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেস। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেই প্রত্যয় প্রতিফলিত করতে পারেনি হায়দার আলীর দল। রিপন মণ্ডলের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নোয়াখালীকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এই হারের ফলে আসরে টানা তৃতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল নোয়াখালী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই রাজশাহীর বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নোয়াখালী। দলীয় ১৮ রানেই ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান (৫) বিদায় নেন। তিনে নামা সাব্বির হোসেনও (৬) থিতু হতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে মাজ সাদাকাত ১৯ বলে ২৫ রান করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
মধ্যভাগে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (২২) ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হায়দার আলী (৩৩) কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও তা বড় সংগ্রহের জন্য যথেষ্ট ছিল না। রাজশাহীর পেসার রিপন মণ্ডল মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করে নোয়াখালীর কোমর ভেঙে দেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৪ রানেই থামে নোয়াখালীর ইনিংস।
১২৫ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানকে (২) হারায় রাজশাহী। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিদ ২০ বলে ২৯ এবং শান্ত ২০ বলে ২৪ রান করে আউট হলে ম্যাচে কিছুটা উত্তেজনা ফিরে আসে। দ্রুতই হোসাইন তালাত (৩) বিদায় নিলে চাপে পড়ে রাজশাহী।
তবে সেই চাপ আর বাড়তে দেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তারা। মুশফিক ৩০ বলে ২৮ এবং ইয়াসির ২৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। নোয়াখালীর পক্ষে হাসান মাহমুদ ২ উইকেট শিকার করলেও তা দলের হার এড়াতে পারেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নোয়াখালী এক্সপ্রেস: ১২৪/৮ (২০ ওভার); হায়দার ৩৩, সাদাকাত ২৫; রিপন ৪/১৩।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: ১২৫/৪ (১৭.৫ ওভার); তানজিদ ২৯, মুশফিক ২৮*; হাসান মাহমুদ ২/১৯
ফল: রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ৬ উইকেটে জয়ী।