
খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গত ২দিনে ধর্ষণ মামলায় পাঁচ ত্রিপুরা যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাহাড়কে উত্তপ্ত করতে সম্প্রতি খাগড়াছড়ি চেঙ্গীনালায় কথিত মারমা কিশোরী ধর্ষণ অভিযোগে সৃষ্ট দাঙ্গায় ক্ষতের চিহ্ন শুকানোর আগেই একের পর এক বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। তবে প্রশাসনের আন্তরিকতা ও দুরদর্শিতায় উদ্ধত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার অযোধ্যা এলাকায় এক কালি মন্দিরে আত্মীয়ের সাথে পূজা দেখতে গেলে স্ব জাতির চার যুবক এক কিশোরিকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানা জানি হলে স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করে তা ব্যর্থ হয়ে ২২অক্টোবর স্থানীয়রা অভিযুক্ত বেলছড়ির চোংড়াগোপা এলাকার অরুন বিকাশ রোয়াজার ছেলে রনি বিকাশ ত্রিপুরা (৩২) ও গোমতির উদয় কুমারপাড়া এলাকার আনি রঞ্জন ত্রিপুরার ছেলে ডেটল বাবু (১৭) কে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরে একই দিন ভুক্তভোগির বড় বোন মনিকা ত্রিপুরা বাদি হয়ে আটককৃত ২জন সহ চার ত্রিপুরা যুবকের নামে মামলা দায়ের করলে ২৩ অক্টোবর সকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেলছড়ির অযোদ্ধা হতে রিমন ত্রিপুরা (২২) এবং ২৪ অক্টোবর অপর পলাতক আসামি সুমন বিকাশ ত্রিপুরা (১৮) কে চট্টগ্রামের বায়জিদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সুমন ও রিমন ত্রিপুরা উভয় উপজেলার গোমতি উদয় কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর রাতে মাটিরাঙ্গার আলুটিলা পর্যটন এলাকায় চাকমা সম্প্রদায়ের এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্ত ভোগি বাদি হয়ে লিটন ত্রিপুরা নামে যুবকে যুবকের বিরুদ্ধে মামল দায়ের করে। লিটন ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়া গোলাবাড়ী এলাকার বাচ্চুরাম ত্রিপুরার ছেলে।
মামলার এজাহার তিনি উল্লেখ করেন,সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদরে এক বান্ধবীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখান থেকে বন্ধুদের সঙ্গে আলুটিলা পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার সময় লিটন ত্রিপুরা নামের ওই যুবক তাদের পিছু নেয়। তারেং এলাকায় পৌঁছালে লিটন তাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর অভিযুক্ত যুবক শিক্ষিকার কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করে। তখন শিক্ষিকা তার বন্ধুকে টাকা নিয়ে আসতে বললে বন্ধু বিষয়টি সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের জানান। সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণকারীকে আটক করে এবং মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসে।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম জানান,ধর্ষণের ২ মামলায় লিটন ত্রিপুরা সহ ২ দিনে মোট ৫ (সকল আসামি) কে গ্রেফতার করে বিধি মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।পার্বত্যনিউজ