রাঙ্গামাটি :- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে রাঙ্গামাটিতে এবার টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকে মুখর। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জেলার পর্যটন স্পটগুলো। সমপ্রতি খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় সাজেকে পর্যটক যাওয়া–আসা বন্ধ থাকলেও গত বুধবার থেকে সাজেক ভ্যালিতে যাচ্ছেন পর্যটকরা। এদিকে, কাপ্তাই হ্রদ, পাহাড়, ঝরনা, সাজেক ভ্যালির মেঘের মিতালি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে মুগ্ধ পর্যটকরা। তবে কেউ কেউ ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় হতাশ হচ্ছেন।
রাঙ্গামাটি পর্যটন বোট ঘাটের ম্যানেজার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, টানা ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের পদচারণা বেড়েছে। এখন কাপ্তাই হ্রদ পানিতে ভরপুর, সুবলং ঝরনাতেও পানি আছে। এ সময়টাতে পর্যটকদের কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ বেড়েছে। এতে করে আমাদের বোট মালিক–শ্রমিকরাও খুশি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙ্গামাটি জোনের পরিদর্শক মো. তারিকুল আলম জুয়েল বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে ট্যুরিস্ট পুলিশ সব সময় নিয়োজিত ছিল। আমরা রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটক ও বিনোদন স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছি। এখানে নিরাপত্তাহীনতার কোনো শঙ্কা নেই।
এদিকে, প্রায় গত দুইমাস ধরে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে রাঙ্গামাটির পর্যটন করপোরেশনের পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি। এতে করে অনেক পর্যটক রাঙ্গামাটিতে এসে হতাশ হচ্ছেন। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রাজু আহমেদ বলেন, রাঙ্গামাটি রিজোর্টে থেকেছি। কাপ্তাই হ্রদ, পাহাড়, সব মিলিয়ে রাঙ্গামাটি এখন ভীষণ সুন্দর। কিন্তু ঝুলন্ত সেতুতে গিয়ে দেখি সেটি ডুবন্ত। ভ্রমণের অপূর্ণতা রয়ে গেল।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আমাদের মোটেল ৭০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। তবে ঝুলন্ত সেতু দীর্ঘদিন হ্রদের পানিতে ডুবে থাকায় কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরছেন। রাঙামাটি ভ্রমণে অনেকের মূল আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। সেটি এখন উন্মুক্ত থাকলে ভালো হত।