দেশ-বিদেশে তোলপাড়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২২২ দেখা হয়েছে

আওয়ামী ডেভিলরা বেপরোয়া : ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ * হাসিনার প্রতিকৃতিতে পচা ডিম নিক্ষেপ এবং সারাদেশে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী-অপরাধীদের গ্রেফতার দাবি * প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের অলিগার্ক আমলাদের অপসারণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদেশের দূতাবাস-হাইকমিশনে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের সরানোর দাবি * পতিত ফ্যাসিস্ট অনুগত আমলারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খবর পলাতক হাসিনার কাছে পাচার করায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিদেশেও সরকারের বিরুদ্ধে তৎপর

ডেস্ক রির্পোট:- ‘ইল্লত যায় না ধুইলে, খাসলত যায় না ম›লে’ প্রবাদ আবারো প্রমাণিত হলো। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যত রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। দলের বেশির ভাগ নেতা পালিয়েছেন, কেউ কেউ গর্তে লুকিয়ে রয়েছেন। তারপরও সন্ত্রাস, পৈশাচিকতা, হিং¯্রতা, হত্যাযজ্ঞ, অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। জুলাই অভ্যুত্থান ঠেকাতে ১৪ শ’ মানুষ হত্যা করে দলটির শীর্ষ নেতা হাসিনার যেমন অপরাধবোধ-অনুশোচনা নেই; তেমনি তার সাথে জড়িত রাজনৈতিক ডেভিলদের চরিত্রেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা দেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্র থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশে হিং¯্র কর্মকা- চালিয়েই যাচ্ছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মূলত হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বিদেশে পাচার করে নিয়ে যাওয়া অর্থ ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেন। বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী যারা ভারতীয় চেতনা ধারণ করেন তাদের দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম-অপকা- চালানো শুরু করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিষোদগার, প্রচারণার পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকা- চালান। গত বছরের ৭ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গেলে সেখানে তাকে হেনস্তা করা হয়। চলতি বছরের ২৪ আগস্ট তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে যুক্তরাষ্ট্রে দূতাবাসের সামনে হেনস্তার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে দূতাবাস-হাইকমিশনগুলো বিদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের অপরাধকা-ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেনি। ফলে নিউইয়র্কে একই পৈশাচিক কা- ঘটায় হাসিনার অলিগার্ক ডেভিলরা।

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের হেনস্তার দায় সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না। বিদেশি অর্থে পরিচালিত এনজিও এবং বিদেশ থেকে ভাড়াটে ব্যক্তিদের হায়ারে এনে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোয় তারা হাসিনার অলিগার্ক আমলাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আমলারা প্রশাসনের নানা তথ্য হাসিনার কাছে পাচার করছে। হাসিনা তার পুত্রকে ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দলীয় সন্ত্রাসীদের কাজে লাগাচ্ছে। যার পরিণতি নিউইয়র্কে হেনস্তার শিকার হন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা। এ ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও কম দায়ী নয়। আওয়ামী লীগ আগে থেকেই বিমানবন্দর ও হোটেলে সামনে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের অনুমতি নিয়ে রেখে ত্রাস সৃষ্টির প্রস্তুতি নিয়েছিল। অথচ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো যেন ঘুমিয়েই ছিল; আওয়ামী লীগ বেপরোয়া তা-ব করতে পারে এমন চিন্তা করেনি। যদিও ডিম নিক্ষেপের ঘটনার প্রতিবাদে তোলপাড় চলছে।

নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে জুলাই আন্দোলনের অগ্রসৈনিক আকতার হোসেনের উপর ডিম নিক্ষেপ-তাসনিম জারাকে গালিগালাজ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হেনস্তার চেষ্টার প্রতিবাদ চলছে সর্বত্রই। নেট দুনিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে এবং আওয়ামী ডেভিলদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি উঠেছে। একই সাথে নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের ব্যর্থতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে দাবি করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী ডেভিলদের হিং¯্রতার প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদ চলছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছবিতে পচা ডিম নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত এক বছরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হলে হাসিনার অনুগত ডেভিলরা যুক্তরাষ্ট্রে ডিম ছোড়ার সাহস দেখাতে পারত না। নেট দুনিয়ায় কেউ লিখেছেন, হাসিনার অলিগার্ক আমলাদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি অনুযায়ী, বিগত ১৫ বছর যারা সন্ত্রাস-হত্যাযজ্ঞ, খুন-অপরাধ করেছে সেই আওয়ামী লীগ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হোক। একই সঙ্গে প্রশাসনে আওয়ামী ডেভিল হিসেবে চিহ্নিত আমলাদের চাকরিচ্যুত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। প্রশাসনে আমলাদের মধ্যে আওয়ামী ডেভিল রেখে যেমন হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ সম্ভব নয়; তেমনি গণতন্ত্র চর্চার অজুহাতে সাংগঠনিক কর্মকা- নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডেভিলদের সুযোগ দিলে তাদের পৈশাচিক অপকা- নিবৃত্ত করা সম্ভব হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে গত দুদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ‘ডিম নিক্ষেপ’ প্রতিবাদে ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছবিতে পচা ডিম ও জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। একই সাথে দেশের আনাচে-কানাকে আওয়ামী লীগের ডেভিল যারা মানুষ হত্যা করে গর্তে লুকিয়ে থেকে মাথা তোলার চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। একই সাথে নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের ব্যর্থতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে দাবি করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আওয়ামী অলিগার্কদের চাকরিচ্যুত করে দক্ষ জনবল নিয়োগের দাবি জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীরা জানান, হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা বিমানবন্দরে এনসিপি নেতার উপর আক্রমণ করেছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা তথা মিস-কমিউনিকেশনের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। অতিথিদের বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসার সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী সেখানে হাজির হয়ে উচ্চস্বরে সেøাগান দিতে শুরু করে। এ সময় মির্জা ফখরুল, আখতার হোসেন ও তাসনিম জারাকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় বাংলা’ ‘রাজাকার’ ‘টের পাইছে’সহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। নিউইয়র্কে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সাধারণ প্রবাসীরাও বলছেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট করেছে। এমন ঘটনা এড়াতে সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। এখন অপরাধীদের চিহ্নিত করে ডেভিলদের বাগে আনতে পরিবারের সদস্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।

নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দানবাকৃতির প্রতিকৃতিতে ঘণ্টাব্যাপী ডিম নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করে ‘দ্য রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠন। সরেজমিন দেখা যায়, টিএসসির পায়রা চত্বরে অবস্থিত শেখ হাসিনার ভয়াল প্রতিকৃতির ওপর একটি ব্যানারে শেখ হাসিনার ছবি সাঁটিয়েছেন দ্য রেড জুলাইয়ের সদস্যরা। পরে তারা সেখানে শতাধিক ডিম নিক্ষেপ করেন। পথচারী বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সে দৃশ্য দেখে কেউ কেউ এগিয়ে এসে ডিম নিক্ষেপ করে হাসিনার ওপর ঘৃণা প্রকাশ করেন। তারা হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি করে এবং আওয়ামী লীগের ডেভিলদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায়। আখতার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে এনসিপি। এতে অংশ নিয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ভারতের আশীর্বাদ নিয়ে আর কোনো দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জনগণের বিপক্ষে গিয়ে এজেন্সির হাত ধরে কারো ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধরী গতকাল চট্টগ্রামে এক সভায় বলেছেন, নিউইয়র্কে ফ্যাসিক্ট আওয়ামী লীগ ডিম নিক্ষেপ করে বুঝিয়েছে, তাদের ফ্যাসিস্ট চরিত্রের এখনো বদল হয়নি। আগের দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একই বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দল, সামাজিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন থেকে দেশে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী ডেভিলদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ : নারায়ণগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট মানুষ রায় দিয়ে দিয়েছে। তারা আর এ দেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

বরিশাল : বরিশাল শহরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের নেতাদের ওপর হামলা করেছে। স্বৈরাচাররা বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে, তারা আর ফেরত আসবে না। হামলা করে তারা কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে।

দিনাজপুর : দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এনসিপি নেতারা পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্তৃক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক আখতার হোসেন ও ডা. তাসনীম জারাকে অপমানিত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান। ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বলেন, শেখ হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা ফ্যাসিবাদের ডিম নিক্ষেপকে ভয় পায় না। যারা বিদেশের মাটিতে স্বদেশের সুনাম ক্ষুণœ করে, তারা কখনো বাংলাদেশের মানুষদের বন্ধু হতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের অলিগার্কদের প্রশাসনে রাখায় ডেভিলরা এখনো স্পর্ধা দেখাচ্ছে। এদের সমূলে বিনষ্ট করতে হবে।

চট্টগ্রামে মানববন্ধন : চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর অঙ্গ সংগঠন। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড় প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়েছে। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয় কমিটি, জাতীয় যুবশক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের নেতারা। বক্তারা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের ওপর বিদেশের মাটিতে বারবার হামলা হচ্ছে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা। ট্রাইব্যুনালের বাইরে সাধারণ কোর্টে যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোয় জামিন দিয়ে দেয়া হচ্ছে। জামিনে এসে আসামিরা অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের হুমকি দিচ্ছে। দেশে ছোট ও বড় পর্যায়ে এসব ঘটনা ঘটতে ঘটতে এখন দেশের বাইরেও তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নেতাকর্মীর ওপর হামলা করছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটানোর দায়িত্ব সরকারের। সরকারের যেসব জায়গায় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে, তাদের অপসারণ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

গতকাল সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলার এনসিপি কমিটির সমন্বয় সভায় এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও পরাজিত ফ্যাসিস্ট ও বিপ্লবীরা একসাথে রাজনীতি করতে পারে না। হয় বিপ্লবীরা থাকবে, নয়তো ফ্যাসিস্টরা থাকবে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিয়েছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারও মানুষ হত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ এই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমরা সেই প্রক্রিয়ার দিকেই যাচ্ছি। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে এবং এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের দল হিসেবে বিচার হবে ও নিষিদ্ধ করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions