খাগড়াছড়ি:- জেলার ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। এছাড়া একটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র একটি।
জেলার পানছড়িতেই শূন্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেশি।
পানছড়ি উপজেলায় মোট ২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি এবং দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট পড়েছে কেবল একটি।
শূন্য ভোটের কেন্দ্রগুলো হলো পানছড়ির লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুদুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভোট পড়েছে।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার অঞ্জন দাশ বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া দীঘিনালা উপজেলায় তিনটি কেন্দ্র ভোট শূন্য গেছে। আরও পাঁচটি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৮ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। লক্ষীছড়িতে ১২ কেন্দ্রের পাঁচটিতেই ভোট পড়েনি। এরমধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চারটি ও সদর ইউনিয়নের একটি।
নির্বাচনের আগে থেকে আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফের অব্যাহত হুমকিকে কারণ হিসেবে বলছেন স্থানীয়রা। যদিও শুরু থেকে ইউপিডিএফ অধ্যুষিত এলাকায় ভোটার উপস্থিতি এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিল। যদিও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কেন্দ্রে ভোটার আসেননি।
ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট বর্জন করেছি। কাউকে বাধা দেইনি।
এদিকে, ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১০টি কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে একলাখ ১১ হাজার ৮০ ভোট, জাতীয় পার্টি ছয় হাজার ২৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপি ছয় হাজার ৫০২ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি তিন হাজার ৬৪৫ ভোট পেয়েছে।