স্পোর্টস ডেস্ক :- এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব থেকে অপরাজিত থেকেই সুপার ফোরে খেলতে যাচ্ছে ভারত। শেষ ম্যাচে ওমানকে তারা ২১ রানে হারিয়েছে। তাতে ‘এ’ গ্রুপের ৩ ম্যাচেই জিতেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। অবশ্য ১৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওমান কিন্তু পাল্টা লড়াইয়ে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। একপেশে ম্যাচ হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে থেমেছে ১৬৭ রানে।
শুরুটা ধীর গতির না হলে ভিন্ন চিত্র হতে পারতো ওমানের। ওপেনিংয়ে ৫৬ রান যোগ করে ওমান। ৮.৩ ওভারে অধিনায়ক জাতিন্দর সিং ওয়ানডে মেজাজে ৩২ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। তার পর মূলত ঝড়ো জুটি উপহার দেন আমির কলিম ও হাম্মাদ মির্জা। এই জুটি-ই চাপ তৈরি করছিল। তাদের ব্যাটে ১৭.৪ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ১৪৯। ৫৫ বলে ৯৩ রান যোগ করেন তারা। দলের ১৪৯ রানে কলিম ৪৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত ৬৪ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। এটাই ছিল দলের সর্বোচ্চ। পরের ওভারে ফিরে যান ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ বলে ৫১ রান করা হাম্মাদ মির্জাও। দ্রুত সময়ে বিনায়ক শুক্লা (১) ফিরলে ১৫৫ রানে ওমান হারায় চতুর্থ উইকেট। শেষ ওভারে জিতেন রামানান্দি চড়াও হলেও তা ব্যবধান কমায় মাত্র। রামানান্দি ৫ বলে ৩ চারে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।
আবু ধাবিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা ভারতের জন্য ম্যাচটা ছিল কার্যত ‘ডেড রাবার’। তাই সুপার ফোর পর্বের আগে ভারত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দলও সাজায়। বিশ্রাম দেওয়া হয় পেস আক্রমণের ভরসা জসপ্রীত বুমরা ও সদ্য নম্বর ওয়ান হওয়া টি-টোয়েন্টি বোলার বরুণ চক্রবর্তীকে। ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন আনে ভারত। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব পুরো ম্যাচে ব্যাটিংয়েই নামেননি, যদিও দল হারায় আট উইকেট।
পাওয়ারপ্লেতে অভিষেক শর্মার ঝড়ো ৩৮ রানের ইনিংসে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৬০। এরপর সাঞ্জু স্যামসনের অর্ধশতকে ভর করে ভারত শেষ পর্যন্ত ওমানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তুলে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান।
শুরুটা এনে দেন অভিষেক। মাত্র ১৫ বলে পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কায় খেলেন ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। ২১ রানে তিনি জীবনও পান। আম্পায়ার রাভিন্দ্র উইলালাসিরি সেটিকে পরবর্তীতে ওয়াইড ঘোষণা করেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আরও ১৭ যোগ করার পর ক্যাচ দিয়ে ফিরেন।
অন্যদিকে স্যামসনের শুরুটা ছিল মন্থর। একপর্যায়ে ১৪ বলে তার রান ছিল মাত্র ১৩। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেওয়া লেগস্পিনার সম্য শ্রীবাস্তবকে এক ছক্কা ও এক চারে আঘাত হেনে ছন্দে ফেরেন তিনি। দশম ওভারে জিকরিয়া ইসলামের বল সোজা সাইট স্ক্রিনের ওপর দিয়ে পাঠান দর্শনীয় এক সিক্সারে। এরপর আবার ধীরস্থির হয়ে খেলতে থাকেন। ৪১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করলেও ১৮তম ওভারে ৫৬ রানে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি। ম্যাচসেরাও স্যামসন। শেষ তিন ওভারে ভারত মাত্র ২১ রান যোগ করে, এর মধ্যে কেবল একবারই আসে বাউন্ডারি। দলে ফেরা হর্ষিত রানা ৮ বলে অপরাজিত ১৩ রানে ইনিংস শেষ করেন পয়েন্টের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে।
ওমানের হয়ে ফয়সাল শাহ, জিতেন রামানন্দি ও আমির কালীম মিলে নেন ছয়টি উইকেট।