শিরোনাম
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ের দরজা ফের খুলে দেওয়া হলো রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু এক মাস ধরে তিন ফুট পানির নিচে রাঙ্গামাটিতে চমক বিলেতি ধনেপাতার চাষ রাঙ্গামাটিতে ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক, ভূমিধসের ঝুঁকিতে ৬ পরিবার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, মহালছড়ির দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি বান্দরবানে প্রদীপ কান্তির উত্থান,এক দশকে দর্জি থেকে কোটিপতি বান্দরবানের ৭২ বেইলি সেতু ঝুঁকিতে, দুর্ঘটনার শঙ্কা বান্দরবানে জুমের ধান কাটা শুরু, পাহাড়ে লেগেছে সোনালি রং ডাকসু নির্বাচন: শীর্ষ তিন পদেই এগিয়ে শিবির অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত না নিলে সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা সুবিধা বাতিল করবে যুক্তরা‌জ্য

বান্দরবানে প্রদীপ কান্তির উত্থান,এক দশকে দর্জি থেকে কোটিপতি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৫ দেখা হয়েছে

বান্দরবান:- বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে বান্দরবানের লামার প্রদীপ কান্তি দাশের উত্থান স্থানীয়দের কাছে ব্যতিক্রমী মনে হচ্ছে। এক দশক আগেও তিনি ছিলেন সাধারণ দর্জি। সংসার চালাতে অন্যের দোকানে সেলাই কাজ করতেন। অথচ আজ তিনি শত কোটি টাকার মালিক, বিলাসবহুল গাড়ির মালিক এবং একাধিক বাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিক। পাশাপাশি তিনি লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে হয়েছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। প্রদীপ কান্তি দাশের রাজনৈতিক ও আর্থিক উত্থান ঘিরে এলাকায় প্রশ্নের ঝড় উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার বিপুল সম্পদের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব ও নানা অনিয়ম।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে পারিবারিক দারিদ্র্যের কারণে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে লামায় আসেন প্রদীপ। প্রথমে স্থানীয় দর্জির দোকানে কাজ শুরু করেন, পরে শুভ বস্ত্রালয়ে সেলাই করতেন। সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন তিনি। ২০০৪ সালে ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে রাজনীতির পথে যাত্রা শুরু করেন। পরে যুবলীগে সক্রিয় হয়ে ২০১২ সালে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। এর পর থেকেই তার ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। রাজনৈতিক পদকে হাতিয়ার করে জমি দখল, ঠিকাদারি ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। আয়কর ফাইলে প্রদীপ মাত্র ১৩ লাখ টাকার ব্যবসায়িক সম্পদ ও ১১টি খতিয়ান দেখালেও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে ৩০টির বেশি জমির দলিল। ইয়াংছা, ফাইতং, ছাগলখাইয়া ও বড় বুম মৌজায় শত শত শতক জমি তার নামে বা বায়না দলিলে রয়েছে। এমনকি ৩০ ভরি স্বর্ণের হিসাবও তিনি মাত্র ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন, যা বাজারদরের তুলনায় অস্বাভাবিক কম।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, লামা ও আলীকদম উপজেলায় প্রদীপ কান্তির নামে ও বেনামে প্রায় শত কোটি টাকার জমি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে লামায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার জমি কিনেছেন তিনি। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করেছেন একাধিক ইটভাটা। লামা পৌরসভার বাজারে কোটি টাকার প্লট, চট্টগ্রামে একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে তার।

জমির দলিল ঘেঁটে দেখা যায়, ছাগলখাইয়া মৌজায় ৩১৭/১৬ নং বায়না দলিলে ৩ শতক, ৩৬১/১৮নং দলিলে ২৭ শতক এবং ১০২৬/১৯নং দলিলে ২৭ শতক জমি কিনেছেন। একই মৌজায় ২০৮/২২, ৫৯৫/২২ ও ৭৩০/২২নং দলিলে যথাক্রমে ৯০, ৪০ ও ২৯ শতক জমি, ৭৭৭/১৮নং দলিলে ২০ শতক এবং ৯০৫/২২নং দলিলে ৩৮ শতক জমির মালিকানা তার নামে রয়েছে। ছোট বুম মৌজায় ৩১৮/১৮, ৩২০/১৮ ও ৫০০/১৮নং দলিলে যথাক্রমে ৫৩, ৫৫ ও ৯০ শতক জমি তার দখলে রয়েছে। বড় বুম মৌজায় ৬৯৪/১৮নং দলিলে ৩৩ শতক, ৩৯০/২০নং দলিলে ২০ শতক এবং ৩৯২/২০নং দলিলে ১০০ শতক জমি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। একই মৌজায় ৬৯৮/১৮নং দলিলে ৪২ শতক, ৫৫১/১৯নং দলিলে ৪০ শতক, ৫৫২ ও ৫৫৩/১৯নং দলিলে যথাক্রমে ৪ ও ৯ শতক এবং ৫৫৪/১৯নং দলিলে ১০০ শতক জমি কিনেছেন। ইয়াংছা মৌজায় ৪১৮/২০নং দলিলে ১০ শতক, ৮৮৩/২২ ও ৮৮৪/২২নং দলিলে যথাক্রমে ২০০ ও ১৮০ শতক এবং ৮৪/২৩ ও ৪৮/২৩নং দলিলে ৯৮০ শতক জমি তার নামে রয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, প্রদীপ কান্তি দাশ নিজেকে সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের প্রতিনিধি পরিচয় দিতেন। যুগান্তর

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions