রাঙ্গামাটি ডেস্ক:- রাঙ্গামাটির ফুরমোন এলাকার মোনপাড়া থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃতরা সাধারণ গ্রামবাসী, তারা ইউপিডিএফ সদস্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫) সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, আজ ভোর সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে সেনাবাহিনী ও জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপ মিলে কজোইছড়ি মোন এলাকায় হানা দেয়। এ সময় তারা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এলোপাথাড়ি মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণ করে।
তাদের ছোঁড়া গুলিতে ঘাগড়া ইউপির ডানে উল্ল গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী এক গ্রামবাসী (জুমচাষী) আহত হন। এ সময় তিনি বাড়ি থেকে বাইরে টয়লেটে যাচ্ছিলেন। তার ডান পায়ে একটি গুলি বিদ্ধ হয়।
অন্যদিকে সেনারা উত্তর মোনপাড়া থেকে পিতা-পুত্রসহ তিন নিরীহ গ্রামবাসীকে আটক করে স্থানীয় একটি স্কুলঘরে নিয়ে আটকে রাখে এবং তাদের ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়।
ভুক্তভোগীরা হলেন- মনসুখ চাকমা (৫০), পিতা মৃত বিন্দু কুমার ও তার ছেলে সিন্ধু মনি চাকমা (২৩), এবং অন্তর চাকমা(১৯) পিতা- সোনামুনি চাকমা। তারা সবাই ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়নের উত্তর মোনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পরে ‘অস্ত্র-গুলি উদ্ধার’ নাটক সাজিয়ে এবং তাদেরকে ইউপিডিএফ সদস্য পরিচয় দিয়ে ছবি তুলে সেনারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সরবরাহ করে এবং উক্ত সরবরাহকৃত মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কিছু মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
তিনি মিথ্যা প্রচার বন্ধ করে অবিলম্বে আটককৃত নিরীহ গ্রামবাসীদের মুক্তি এবং আহত ব্যক্তির চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।
অংগ্য মারমা আজ ২৪ জুন রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদদপ্তর (আইএসপিআর) যে দাবি করেছে তা অর্ধ সত্য বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে ছিল না, ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে যা করা হয়েছে তা সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই নয়। বাস্তব দৃশ্যপটে ইউপিডিএফের কোন অস্তিত্ব ছিল না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।