ডেস্ক রির্পোট:- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জে ২টি আসনের দুই প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। তারা হলেন- সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বিএনএম মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার।
মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাসায় নির্বাচনি মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রথমে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে নির্বাচন সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই জায়গায় আমি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গিয়ে প্রার্থিতা বৈধ করে নির্বাচনে ফিরে এসেছি। কিন্তু আমার প্রথমে মনে হয়েছিল, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু বর্তমানে যা দেখছি সেখানে বলতে হচ্ছে, দেশে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটাই নেই। এছাড়া নৌকা ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগও তুলেন তিনি।
এদিকে জানা যায়, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা না পেয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লাঙ্গলের প্রার্থী আব্দুল মন্নান তালুকদার। এই নির্বাচনকে আসন ভাগাভাগির ও প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দেন এই প্রার্থী। মঙ্গলবার সকালে জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মন্নান তালুকদার জানান, ১৯৮৬ সাল থেকে জাতীয় পার্টির সঙ্গে একনিষ্ঠ ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করি। পরে মহাজোটকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলাম। এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে মনোনীত হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করি ও নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাই। তৃণমূল ভোটারের কাছ থেকে বেশ সাড়া পেয়েছি। তিনি বলেন, প্রচার-প্রচারণায় আমি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি, আসন ভাগাভাগির ও প্রহসনের নির্বাচন হবে। তাই আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।