শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি’র ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রহসনমূলক বিচারে মাইকেল চাকমাকে দণ্ডাদেশ প্রদান নিষ্ঠুর পরিহাস, মেনে নেয়া যায় না : ইউপিডিএফ কঠিন চীবর দানোৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা ২৫ বছরের দণ্ডে দণ্ডিত ইউপিডিএফ সশস্ত্র কমান্ডার মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় শাসন বাতিল করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবি সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উদযাপন রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবি, সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সকল যাত্রী নিরাপদে উদ্ধার সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তিন পার্বত্য জেলার সন্ত্রাসীদের আস্তানায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু, আহত ৪ রাঙ্গামাটিতে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সাড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৭৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দেশে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৭৪১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। একই সময়ে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬) অতিক্রম করেছে।

এই রিজার্ভ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে নির্ধারিত। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্রের দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। নিট রিজার্ভ নেমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে।

এরপর রমজান মাসে প্রবাসী আয় প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে মোট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ এপ্রিল মাসেও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ফলে মোট রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। পাশাপাশি নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

এই মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বা রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এর বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি রিজার্ভের হিসাব করে থাকে, যেটি হলো ‘ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ’।

এই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার এবং পাইপলাইনে থাকা আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। সে হিসেবে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।

২০২২ সালের পর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে হারে কমে আসছিল, সর্বশেষ সেই হ্রাস রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ।

তারই ফলাফল এই রিজার্ভ বৃদ্ধি। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির আগের সময়ের অবস্থায় এখনো ফিরে আসা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার ফলে রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। এ অবস্থায় সুদের বর্তমান হার আরও কিছুদিন বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে বেসরকারি ঋণের চাহিদা না বাড়ে এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত থাকে। তাহলেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় রাখা সম্ভব হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions