খাগড়াছড়ি:- এবারের সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি আসনে ৯টি উপজেলায় মোট ১৯৬টি কেন্দ্রে ভোট হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ১৫টি, সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৮২টি এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৮৫টি কেন্দ্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি কেন্দ্রে জনবলসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো হবে হেলিকপ্টারে।
এ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়নের শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। নির্বাচনী কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য ছাড়াও যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম আনা-নেয়ার কাজে এসব কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলায়। এখানে ৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি কেন্দ্রকেই অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও খাগড়াছড়ি সদরে ৩৬টি কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৬টি, পানছড়িতে ২৪টির মধ্যে ১১টি, রামগড়ে ১৬টির মধ্যে ৮টি, লক্ষ্মীছড়িতে ১২টির মধ্যে ৫টি, মানিকছড়িতে ২০টির মধ্যে ৪টি, গুইমারায় ১৩টির মধ্যে ৪টি, দীঘিনালায় ২৯টির মধ্যে ৩টি এবং মহালছড়িতে ১৪টির মধ্যে ৩টি কেন্দ্রকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, জেলার নটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ সংসদীয় আসনে এবারের নির্বাচনে ১৯৬ কেন্দ্রে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ হাজারই তরুণ।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে পার্বত্য এ জেলাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
খাগড়াছড়ির জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘নির্বাচনে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি। সাধারণ ভোটাররা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
খাগড়াছড়ি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ভোটাররা যেন নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকা বিবেচনা করে ৩টি কেন্দ্রে নির্বাচনী কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ সব বাহিনীই নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি উপজেলায় কেন্দ্রভিত্তিক ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। খাগড়াছড়িতে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’