পছন্দমতো চরিত্র পেলে অভিনয় করতে পারি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দিলশাদ নাহার কনা। একের পর এক উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় সব গান। তার গাওয়া ‘দুষ্টু কোকিল’ শিরোনামের গান ছড়িয়ে পড়েছিল শ্রোতার মুখে মুখে। গান ও ব্যক্তিজীবনের নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন আমার দেশ-এর সঙ্গে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়িকার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আফসানা খানম আশা—

কেমন আছেন? সময় কাটছে কেমন?

আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, সময় ভালো কাটছে, কারণ কাজের মধ্য দিয়ে ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটছে। সুতরাং ব্যস্ত থাকাটা ভালো থাকার একটা বড় অংশ বলে আমার মনে হয়।

আইটেম গান মানে কনা, এর কারণ কী?

এ কথাটা আসলে ঠিক নয়। আইটেম গান মানেই আমিÑএটাও ঠিক নয়। হয়তো পরপর কয়েকটা আইটেম গান গাওয়া হয়ে গেছে, তাই অনেকে মনে করে এর বাইরেও আমি সিনেমার রোমান্টিক গান করছি এবং নাটকের গান করছি। সুতরাং আমি মনে করি, যেগুলো বেশি পপুলার হয়, সেগুলোই সামনে আসে। এর আগেও আমি অনেকগুলো আইটেম সং গেয়েছি, কারণ আমি একজন প্লেব্যাকার, সুতরাং সব ধরনের গানই গাইতে হয় সিনেমার প্রয়োজনে। আমার ভালো লাগে কখনো রোমান্টিক, কখনো ফিল্মি সং এবং কখনো আইটেম সং। বিভিন্ন ধরনের গান গাইতে পারা আমার কাছে মনে হয় চ্যালেঞ্জের মতো বা প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে আনন্দের।

সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন, একক অ্যালবাম, স্টেজ শো করেছেন, কিন্তু আপনার কণ্ঠে দুঃখের গান কম শোনা যায়, কারণ কি?

আমার কণ্ঠে কষ্টের গান কম শোনা যায়! আসলেই তো কম শোনা যায়, ‘আমি আসলে ওভাবে খেয়াল করিনি। কম হয় কিন্তু গাওয়া হয়, নাটকের বেশ কয়েকটা দুঃখের গান গেয়েছি বা সিনেমাতেও গেয়েছি কিন্তু আসলেই কম হয়। মে বি যারা গানগুলো গাওয়ান আমাকে দিয়ে তারা আসলে কষ্টের গানের চেয়ে রোমান্টিক গানই শুনতে পছন্দ করেন বেশি। নিজে যখন গান করি তখন আমি অবশ্যই চাই যেন আমার গান শুনে সবাই আনন্দ পাক, সুতরাং আমি একটু আনন্দের গান গাওয়ারই চেষ্টা করি।

ইমরান-কনা ছাড়া কনার সঙ্গে আর কোন সংগীত জুটি দর্শক বেশি গ্রহণ করেছেন?

ওভাবে তো প্ল্যান করে জুটিবদ্ধ হয়ে গান গাওয়া হয়নি। ইমরানের সঙ্গে অনেক গান গাওয়া হচ্ছে, এর বাইরেও গাওয়া হচ্ছে কিন্তু দেখা যায় যে পরিমাণে ইমরানের সঙ্গেই বেশি গাওয়া হচ্ছে, প্রতিমাসেই দুই-তিনটা করে বা এর বেশিও গাওয়া হচ্ছে, স্টেজ শোতেও আমাদের একসঙ্গে যাওয়া হচ্ছে। আই থিঙ্ক এটা আসলে কাজ করতে করতে হয়ে গেছে এবং দর্শকও আমাদের গান পছন্দ করেছেন, এর বাইরেও ইমরান ওর সলো গান দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে এবং আমিও আমার সলো গান দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করেছি এবং পরে আমাদের একসঙ্গে গান গাওয়া হয়েছে এবং সেই জুটিটাকেও সবাই এক্সসেপ্ট করেছে। আসলে দর্শকরাই এটার বড় বিচারক, কার গান শুনবে বা কোন জুটির গান শুনবে, এটাতে আসলে আমাদের কোনো হাত নেই।

গানের পাশাপাশি অভিনয় করার ইচ্ছা আছে কি না?

আমি একটা সময় বেশ কয়েকটা নাটক করেছিলাম অনেক আগে। আর মাঝখানে একেবারেই করিনি কিন্তু ইদানিং মনে হয় অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। আমরা যেহেতু গান করছি, দেখেত পাচ্ছি আশপাশে যারা ডিরেক্টররা আছেন তারা বেশ ভালো ভালো কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সখ্য আছে কাজের প্রয়োজনেই। তো দেখছি যে, অনেক ভালো কাজ হচ্ছে এবং বড় পরিসরে হচ্ছে। যদি দেখা যায় যে, আমার পছন্দমতো কোনো ক্যারেক্টার আসে, কখনো হয়তো ট্রাই করে আবার দেখতে পারি।

দেখা যায় আপনি আপনার ভক্তদের অটোগ্রাফ দেন, আপনি কখনো কারো অটোগ্রাফের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বা প্রথম কার অটোগ্রাফ নিয়েছিলেন?

আমি যখন অনেক ছোট তখন বাংলাদেশ টেলিভিশনে আমি ‘এসো গান শিখি’ প্রোগ্রাম করতাম, তখন আমার বাবা আমাকে নীল রঙের একটা ডায়েরি কিনে দিয়েছিলেন, ওটা আমার অটোগ্রাফ ডায়েরি ছিল। সেই সময় আটোগ্রাফ কী আমি জানতাম না, তো আব্বু বলেছিল যে, যারা বড় বড় আর্টিস্ট, যাদের তোমরা পছন্দ কর তাদের সিগনেচার তারা লিখে দেবেন- এটাই হচ্ছে একটা আটোগ্রাফ। তখন আমার কাছে অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল। তো আটোগ্রাফের ডায়েরিটাতে অনেকের আটোগ্রাফ আছে। আমার যতটুকু মনে পড়ে, ওই ডায়েরিতে প্রথম অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম আমাদের খুব পছন্দের একজন অভিনেতা আফজাল হোসেন।

কাজের ক্ষেত্রে কার অনুপ্রেরণা বেশি পেয়ে থাকেন?

আমার আসলে পুরো পরিবারই আমাকে ছোটবেলা থেকে সাপোর্ট করেছেন। আমার মা আমাকে নিয়ে গেছেন সব জায়গাতে কিন্তু আমার বাবার সাপোর্টও ছিল ১০০%। আমার ভাই-বোনদের সাপোর্টও ছিল। আমি আসলে অনেক ছোটবেলা থেকে সাপোর্ট পেয়েই আসলে মিডিয়াতে কাজ করছি। নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেছি। আর এখনতো পুরো পরিবার, আত্মীয়স্বজন সবাই আমাকে এই জায়গাতে দেখতে পছন্দ করে। সুতরাং আমাকে সবাই অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

ব্যক্তি জীবনে আপনি কেমন?

ব্যক্তি জীবনে আমি একেবারেই একটা সাধারণ মানুষ। লেস কমপ্লিকেটেড, লেস মেইনটেন্যান্স, মানে আমি খুব ম্যানেজেবল। খুব সহজেই অনেক কিছু ম্যানেজ করতে পারি। আমি খুবই খুবই সাধারণ, একদমই কমপ্লিকেটেড না, এটা যারা আমার সঙ্গে চলাফেরা করেন বা আমার সঙ্গে মেশেন তারা ভালো জানেন। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি, আমি কাজ করতে পছন্দ করি, কাজের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসি, এবং কাজটা নিষ্ঠার সঙ্গে করার চেষ্টা করি। কাজের বাইরে আমি অনেকটা বন্ধুসুলভ। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি। এমনও আছে, আমি যাদের চিনি না তাদের সঙ্গেও কথা বলি। সুতরাং আমি খুব এক্সটোভার্ট আর কি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions