ই-ক্যাব ডিজিটাল পল্লি হচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৬৪ দেখা হয়েছে

অনলাইন উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সঙ্গে কথা বলেছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শমী কায়সার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জয়নাল আবেদীন খান।

শমী কায়সার
—: গ্রামের উদ্যোক্তাদের নিয়ে কী ভাবছেন?
শমী কায়সার: দেশ ডিজিটাল হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসা। তবে আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তা হলো অনলাইন ব্যবসাটা নগর ও শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। পল্লি বা গ্রামে ব্যবসা স্বল্পপরিসরে গড়ে উঠেছে। আমরা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজনেস কাউন্সিলের সহায়তায় ই-কমার্স ব্যবসাকে পল্লিতে ছড়িয়ে দিতে চাই। এ জন্য ‘ডিজিটাল পল্লি’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গ্রামের উদ্যোক্তাদের জন্য নানা ধরনের সুযোগের ব্যবস্থা করা হবে।

—-: উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব কী?
শমী কায়সার: শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাব পড়ে ব্যবসায়। এ জন্য আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি পালন করে থাকি। বিশেষ করে আগামী দিনে প্রযুক্তির উন্নয়নের কথা ভেবে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ জন্য সদস্যদের ডিজিটাল লিটারেসিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এনবিআরের ভ্যাট, ট্যাক্স ও ব্যাংকিং ইস্যুতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আর ব্যবসা পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সব উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এসব কাজ আমরা বিজনেস সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে করতে চাই। সদস্যদের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য মেম্বারশিপ সাপোর্ট সেন্টার করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

—-: ই-ক্যাবের উন্নয়নে পরিকল্পনা কী?
শমী কায়সার: ই-ক্যাব এখন একটি বড় সংগঠন। প্রথম দিকে এ সমিতির সদস্য ছিল মাত্র ৫০ জন। এখন সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। আমি ই-ক্যাবের হয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদ অলংকৃত করছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় শিল্পটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। এখন এই খাতের বাজার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার। আমরা সদস্যদের জন্য বিশ্ববাজারে প্রবেশে যাবতীয় সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছি। বিশেষ করে ক্রস বর্ডার ব্যবসা প্রসারে সদস্যদের পাশে থাকবে ই-ক্যাব।

—-কা: ই-ক্যাব উদ্যোক্তাদের বর্তমান চ্যালেঞ্জ কী?
শমী কায়সার: আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ট্যাক্স ও ভ্যাট জটিলতা। এটা দূর করা দরকার। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো জটিল পেমেন্ট সিস্টেম। যার কারণে অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসা পরিচালনায় বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এ ছাড়া ব্যাংকঋণ পেতে জটিলতার কারণে এ খাতে অর্থায়ন নিয়ে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে। আর একটি চ্যালেঞ্জ হলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতির বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। এটাকে মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা না গেলে পরবর্তী সময়ে নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে।

—–: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কী করছেন?
শমী কায়সার: নারীদের জন্য আমরা কিছু নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠনের কাজ চলছে। এর মূল কাঠামো এটুআইয়ের তৈরি, যা বাস্তবায়ন করছে সরকার। ই-ক্যাব তাতে সহায়তা করছে। এ ছাড়া অটোমেশন ও স্বচ্ছতা বাড়াতে এস্ক্রো সিস্টেমের কাজ চলছে। এর ফুল অটোমেশনের কাজ করছে এটুআই। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে অর্থের লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকবে। আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions