খাগড়াছড়ি :- খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেছেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নে আয়োজিত সম্প্রীতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় রিজিয়ন কমান্ডার সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সারাদেশের চেয়ে খাগড়াছড়ির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো।
রিজিয়ন কমান্ডার গত ৫ এ আগস্ট পরবর্তী পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পাহাড়ি, বাঙালি ও সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ জন্য উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, সমতলের চেয়ে পাহাড়ে রাজনীতি পথ পিচ্ছিল। এখানে বিএনপির বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীন বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পক্ষে মত দেন। তিনি অভিযোগ করেন বিগত আওয়ামী লীগের আমলে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে শিক্ষক নিয়োগে জনপ্রতি ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর এখন ঠিকাদারদের জামানত থেকেও ঘুষ নেওয়া হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবাগত খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল খাদেমুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মো. জাবির সোবহান মিয়াদ, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরণ ভট্টাচার্য্য, সাধারন সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, বিশিষ্ট উপজাতীয় নেতা রবি শংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরসহ জাতীয় পাটি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ খাগড়াছড়ি বাজার ছাড়াও পথে পথে একাধিক পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন।