রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটি পৌরমাঠে ফুলের বাগানের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পৌর শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে “পৌরমাঠে ফুলের বাগানের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির” অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি পৌরসভার সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিবর্গ অভিযোগ করেন, রাঙ্গামাটি পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিগত স্বৈরাচারি সরকারেরই এক কর্মকর্তা।
বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে এই কর্মকর্তা পৌর প্রশাসনের চেয়ারে বসে পৌর নাগরিকদের মতামত উপেক্ষা করে সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছে দাবি করে বক্তারা বলেন, পৌর এলাকার অত্যন্ত গুরুপূর্ন এই পৌরমাঠে প্রতিদিন কয়েকশো শিশুকিশোর খেলাধূলা করে এবং সারাবছরই বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মেলাসহ নানান কর্মসূচী পালন করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ মর্যাদার জনৈক নারী কর্মকর্তা নিজ ইচ্ছায় ফুল বাগান সৃজনের নামে পুরো মাঠটিকে ক্ষত-বিক্ষত করে বাগান সৃষ্টির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি স্থানীয় হাজারো নাগরিক। তারা পৌর কর্তৃপক্ষকে মাঠটি নষ্ট না করার অনুরোধ জানালেও নাগরিকদের আপত্তিতে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি সংশ্লিষ্ট্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ নাগরিকরা “পৌরমাঠে ফুলের বাগানের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির” অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সকালে পৌর প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা দূর্ণীতি দমন কমিটির সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মোঃ কামাল হোসেন, জাসাস সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী কামাল উদ্দিন, ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা নারী কর্মকর্তার স্বামীও রাঙ্গামাটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিগত স্বৈরাচারি সরকারের একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা। যার ফলে তিনি পতিত সরকারের পর রাঙ্গামাটিতে বিতর্কিত কর্মকান্ড করে পার্বত্য উপদেষ্ঠাকেও বির্তকিত করেছিলেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছিলো জেলা প্রশাসন।
এক পর্যায়ে তাকে রাঙ্গামাটি থেকে বদলী করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেএকই ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী। মূলতঃ স্বামী-স্ত্রী এই দুই কর্মকর্তা পতিত সরকারের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি করে বিসিএস কর্মকর্তা হয়েছিলেন।
বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে তারা জনমতকে অগ্রাহ্য করে জনসাধারনের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এই পৌর মাঠে আমাদের প্রাণের মাঠ। পৌর এলাকার ৭নং ওয়াডে কোন মাঠ নেই। তাই এই পৌর মাঠে এলাকার ছোট ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করে থাকে। ফুলের বাগান করার নামে এই মাঠ দখল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ বন্ধ করা না হয় তা হলে বিক্ষোভ মিছিলসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা।