শিরোনাম
জুরাছড়ি জোনের উদ্যোগে পাংখুয়াপাড়া গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ কর্মসূচি রাঙ্গামাটিতে বড়দিন উপলক্ষে খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীদের সমবেত প্রার্থনা ও কেক কাটা আজ শুভ বড়দিন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ আজ ফিরছেন তারেক রহমান,নির্বাসন শেষ, ঢাকায় বরণের আয়োজন খাগড়াছড়িতে বিজিবির অভিযানে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৭ দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে! অবশেষে খনন হচ্ছে রাঙ্গামাটির ৩ নদী,একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন,সহজতর হবে যাত্রী ও কৃষিপণ্য পরিবহন ভূমিকা রাখবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাঙ্গামাটি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জুঁই চাকমা

এবার ব্রিটিশ পত্রিকার অনুসন্ধান: যুক্তরাজ্যে হাসিনা–ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির হদিস

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৮৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের কয়েকজন মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নামে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভারের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পত্তির মোট মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি। এসব সম্পত্তি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দ্য অবজারভার হলো পুরোনো ও প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ব্যক্তিদের নামে ৩৫০ টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট থেকে সুবিশাল ম্যানশন। অধিকাংশ সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের যুক্তরাজ্যেই ৩৬০ বাড়ি, দুবাই–যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়ে আছে সম্পত্তিসাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের যুক্তরাজ্যেই ৩৬০ বাড়ি, দুবাই–যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়ে আছে সম্পত্তি

অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।

মেফেয়ার এলাকায় গ্রোসভেনর স্কয়ারে সালমানের পরিবারের সদস্যদের সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। একই এলাকায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও একটি ফ্ল্যাট তাঁর মালিকানায় রয়েছে।

এ ছাড়া সালমানের আরেক ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের চারটি সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।

সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দী। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ব্যাংক হিসাব এবং স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যে ৩০০ টিরও বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৬ কোটি পাউন্ড।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল–জাজিরার একটি অনুসন্ধানে বলা হয়, বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এবং আদালতের নির্দেশে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের সম্পদ বাংলাদেশকে ফেরত দিতে ব্রিটিশ এমপি আপসানার চিঠিসাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের সম্পদ বাংলাদেশকে ফেরত দিতে ব্রিটিশ এমপি আপসানার চিঠি

এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের লন্ডনের কেনসিংটনে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।

বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দেশটির ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions