ডেস্ক রির্পোট:- চরম মাত্রায় পৌঁছেছে লেবানন ইসরায়েল উত্তেজনা। লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজেনা চরম আকার ধারণ করেছে। পাল্টাপাল্টি উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলে ১৭টি হামলা চালিয়েছে লেবানন ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সীমান্তবর্তী এলাকায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা অন্তত ১৭টি হামলা চালিয়েছে। সামরিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
গোষ্ঠীটির সবশেষ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে এ হামলা অব্যাহত থাকবে। এসব হামলার বেশিরভাগ শুক্রবার সকালের দিকে চালানো হয়েছে।
লেবানন থেকে ইসরায়েলে ১৭ হামলা
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রতিরোধে একমত যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স
অন্যদিকে হিজবুল্লাহর অবস্থানকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় হিজবুল্লাহর অবস্থানকে কেন্দ্র করে অন্তত ৭০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, এ হামলার প্রতিশোধ গ্রহণে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলে, ‘অন্যান্য দিনের মতো তারা গাজা, গাজার জনগণ ও তাদের প্রতিরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অভিযান চালিয়ে যাবে। তবে মঙ্গলবারের হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধী শত্রু (ইসরায়েল) কঠোর শাস্তির অপেক্ষায় আছে। চলমান প্রতিরোধ হামলার থেকে পৃথক একটি প্রতিশোধের পথ তৈরি করেছে শত্রুরা।’
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কাছ থেকেও কঠোর বার্তা এসেছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেন, আঞ্চলিক সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার ইসরায়েলি চেষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
ফোনালাপে পেজার হামলায় এরদোয়ান দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এরদোয়ান আরও বলেন, এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া ইরানও ইসরায়েলের দিকে আঙুল তুলেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ানের ওয়েবসাইটে বলা হয়, পশ্চিমা শক্তি ও যুক্তরাষ্ট্র যে জায়নবাদীদের অপরাধ, গণহত্যা, গুপ্তহত্যা সমর্থন করে তা পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা আবারও প্রমাণ করে।