শিরোনাম
উত্তপ্ত তিন পার্বত্য জেলা, যা জানালো আইএসপিআর রাঙ্গামাটিতে পরিবহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ পাহাড়ে আচ্ছেন তিন উপদেষ্টা অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম নিহত ৪ লেবানন থেকে ইসরায়েলে ১৭ হামলা দলে বিশৃঙ্খলা রোধে স্মার্ট অ্যাকশনে তারেক রহমান,আগামী সপ্তাহে ৩ জেলায় সমাবেশ সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৭শ মামলা,রাঙ্গামাটি,বান্দরবানসহ ছয় জেলায় এখনো মামলা হয়নি দেশের ৩ অঞ্চলে হিট ওয়েভের শঙ্কা চট্টগ্রামে হাতকড়া পরে ফিরল সাবেক এমপি ফজলে করিম খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি,অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন

আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৬ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিদায়ী আগস্ট মাসে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জন নিহত, ৯৮৫ জন আহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এ মাসে রেলপথে ১০টি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে।
নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত, দুজন আহত ও নয়জন নিখোঁজ রয়েছে।

সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪৯০টি দুর্ঘটনায় ৫৩৪ জন নিহত ও ৯৮৯ জন আহত হয়েছে। এ সময়ে ১৯৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত ও ২০১ জন আহত হয়েছে, যা মোট দুর্ঘটনার ৪১.৩২ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২১ জন নিহত ও ২৬১ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৯৩ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে একজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ জন চালক, ৭৫ জন পথচারী, ৩৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৪ জন শিক্ষার্থী, একজন শিক্ষক, ৬৬ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, তিনজন সাংবাদিক, একজন আইনজীবী ও ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৪৫টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩১.৬৭ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১.২০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১০.৩৩ শতাংশ বাস, ১৪.৩৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৮.৪৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭.৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.১৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.৫৪ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ৩৩.১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২২.০৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ২.৫৬ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.৪২ শতাংশ ট্রেন যানবাহনে সংঘর্ষ ও চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.২১ শতাংশ।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৮৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২০.৭৭ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯.১৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৪৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৪২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ
দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল, জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো ও একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ
জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান। ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা। মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা। রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা। সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা। উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানো। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা। নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা। মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions