শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি শেখ মুজিব দেশে ফ্যাসিবাদের জনক : মির্জা ফখরুল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে পিটুনি

পদোন্নতি-পদায়ন নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৭৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশজুড়ে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে পুলিশ ও জনপ্রশাসনেও। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার এক মাস পেরিয়ে গেলেও শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি এ দুই জায়গায়। পদ নিয়ে সচিবালয়ে লেগেই আছে গন্ডগোল। পুলিশ বাহিনীতেও পদোন্নতি, বদলি ও পদায়নের তৎপরতা চলছে বেশি। গুরুত্বপূর্ণ পদে ও স্থানে পদায়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পদ নিয়ে জনপ্রশাসনে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। ৪৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে এদিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হট্টগোল করেছেন একদল কর্মকর্তা। তাঁদের বিরোধিতার মুখে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের এক দিন পর ৯ জন ডিসির পদায়ন বাতিল করেছে সরকার। এ ছাড়া রদবদল করা হয়েছে ৪ ডিসির কর্মস্থল। তবু কমেনি আওয়ামী লীগের আমলে ‘বঞ্চিত’ দাবি করা এই কর্মকর্তাদের ক্ষোভ। তাঁরা চান, ডিসি নিয়োগের দুটি প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন করে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। কিন্তু তাঁদের এমন দাবি মানতে নারাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা চলছে প্রশাসনে।

এদিকে ডিসি হতে ইচ্ছুক কর্মকর্তাদের সচিবালয়ে হট্টগোল নিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। সেই কমিটির একমাত্র সদস্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ডিসি হতে ইচ্ছুক কর্মকর্তাদের সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা শোভন হয়নি।

প্রশাসন স্বাভাবিক করতে কী করণীয় জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যভান্ডার হালনাগাদ থাকতে হবে। কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, কোন কর্মকর্তা কেমন, সেসব তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অবশ্যই থাকতে হবে। বর্তমানে যাঁরা দায়িত্বে এসেছেন, তাঁদের কাছে সব ধরনের তথ্য না-ও থাকতে পারে। এ জন্য অবশ্যই তথ্য নানাভাবে যাচাই করতে হবে। দ্রুত কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য পাওয়ার পর তা সংশোধন করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে সংযুক্ত থাকা উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেখভাল করছেন। এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এপিডি (নিয়োগ, পদায়ন ও প্রেষণ) অনুবিভাগ অতিরিক্ত সচিব মো. নাজমুছ সাদাত সেলিমের বদলে নতুন এপিডি হন একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ। এই অনুবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দুটি যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ পান সদ্য পদোন্নতি পাওয়া দুই যুগ্ম সচিব বিসিএস ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং কে এম আলী আযম। বিএনপি-জামায়াত ঘরানা হিসেবে পরিচিত এই দুই কর্মকর্তা শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরদিনই দুই দপ্তরে বসে অফিস শুরু করেন। গত দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় যাঁদের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার পেছনে এই দুজনের হাত আছে বলে মনে করেন ‘বঞ্চিতরা’। তাঁদের দাবি, এই দুই কর্মকর্তা অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে প্রশাসনে বদলি-পদায়নে বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন।

৯ ডিসির নিয়োগ বাতিল: বিতর্ক ওঠায় ইতিমধ্যে সিলেটের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া পি কে এম এনামুল করিমসহ ৯ জেলার ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নিয়োগ বাতিল হওয়া অন্য ডিসিরা হলেন লক্ষ্মীপুরের সুফিয়া আক্তার রুমী, জয়পুরহাটের মো. সাইদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার ফারহানা ইসলাম, রাজশাহীর মো. মাহবুবুর রহমান, সিরাজগঞ্জের মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার, দিনাজপুরের মো. মোবাশশেরুল ইসলাম, রাজবাড়ীর মনোয়ারা বেগম ও শরীয়তপুরের মো. আব্দুল আজিজ।
এ ছাড়া চার জেলার ডিসির পদায়ন বদল হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলার ডিসি সাবেত আলীকে পঞ্চগড়ে, নীলফামারীর ডিসি শরীফা হককে টাঙ্গাইলে, নাটোরের ডিসি রাজীব কুমার সরকারকে লক্ষ্মীপুরে এবং পঞ্চগড়ের ডিসি নায়িরুজ্জামানকে নীলফামারীতে বদলি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘আমাদের অনেকে ভুল তথ্য-উপাত্ত দেওয়ায় কিছু দুর্নীতিবাজ ও বিতর্কিত কর্মকর্তা পদোন্নতি এবং ডিসি পদে পদায়ন পেয়েছেন। গণমাধ্যমে যেসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসছে, সেগুলো আমরা যাচাই করছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ামাত্রই তা বাতিল করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের খবর সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জন ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ৪ জনের কর্মস্থল রদবদল করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও করা হবে। একটা ব্যতিক্রম পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। প্রশাসনের নিয়ম মেনে বদলি-পদায়নের চেষ্টা করছি। সবকিছু কিন্তু আমার হাতে নেই। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সবার ওপরে।’

পুলিশে দেদার পদোন্নতি ও পদায়ন: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপক রাজনীতিকরণ এবং দুর্নীতি-অনিয়মের জন্য অভিযুক্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থানায় হামলা, ভাঙচুর, হত্যাসহ নানা কারণে দেশজুড়ে পুলিশের প্রায় সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ভেঙে যায় সদস্যদের মনোবল, স্থবির হয়ে পড়ে পুলিশ বাহিনী। এ কারণে আন্দোলনকারীসহ বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশে সংস্কারের জোরালো দাবি ওঠে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশের ভাবমূর্তি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ তেমন চোখে পড়ছে না। দৃশ্যত পুলিশ বাহিনীতে পদোন্নতি, বদলি ও পদায়নের তৎপরতাই চলছে বেশি। গুরুত্বপূর্ণ পদে ও স্থানে পদায়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

সংস্কারে জোর দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়টি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, সময় দিতে হবে।’

পুলিশের সংস্কারের ওপর জোর না দিয়ে পদোন্নতি ও পদায়নের ‘প্রতিযোগিতায়’ সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। গণ-আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজেও এ নিয়ে সমালোচনা দেখা গেছে। গ্রুপে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশের পদোন্নতি, পদায়ন বা বদলির বিষয়টি ‘গত সরকারের আমলের মতো’ আবার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হতে চলেছে। সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমেদ, সাবেক ডিআইজি রফিকুল ইসলাম বকুল, বিএনপি আমলের রমনা থানার প্রভাবশালী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব (পরবর্তী সময়ে চাকরিচ্যুত), ডিআইজি আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ, ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া, সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ, ডিসি তাহেরুল হক চৌহান পদোন্নতি, পদায়ন বা বদলি নিয়ন্ত্রণ করছেন। থানার ওসি পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

পদোন্নতি, পদায়ন ইত্যাদি তৎপরতার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভিযোগ নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘নানাজন নানা বিষয় বলতেই পারে। আমরা আমাদের কাজটা করছি। পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে, পুলিশের পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ে সেই ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।’

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অফিসার পদমর্যাদার অধিকাংশ পুলিশ সদস্যের বদলি বা পদায়ন হয়েছে। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের কনস্টেবল বা নিচের দিকের কর্মীদেরও বদলি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ডিএমপির ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ পুলিশ সদস্যের বদলি বা পদায়ন হচ্ছে।

সংস্কারের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৭ জন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে পুলিশ কনস্টেবল থেকে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে ৭৯ জন, পুলিশ সুপার (এসপি) পদে ৩০ জনসহ মোট ১০৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জনকে এসপি থেকে সরাসরি উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ৬ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি না হয়ে সরাসরি ডিআইজি করা হয়। এর আগে ১৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক থেকে পদোন্নতি দেওয়া হলেও একজনকে পুলিশ সুপার (এসপি) থেকে সরাসরি ডিআইজি করা হয়।

একই দিনে অপর এক প্রজ্ঞাপনে ৬৩ জন সুপারনিউমারারি হিসেবে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি না হয়ে সরাসরি ডিআইজি হয়েছেন। এ ছাড়া ২০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে ৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। আরও অনেক কর্মকর্তাই পদোন্নতির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন।

পদোন্নতি পাওয়া এসব কর্মকর্তা শেখ হাসিনা সরকারের সময় পদোন্নতিবঞ্চিত ছিলেন বলে দাবি করছেন কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ৭৬৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকা রাখা প্রায় ৮০ জন পুলিশ সদস্যকে ওএসডি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), মেট্রোপলিটন পুলিশ, রেঞ্জ পুলিশসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে প্রায় কয়েক শ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৫০টি জেলার পুলিশ সুপার ও ডিএমপির সব কটি থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদলি করা হয়েছে। এসব জায়গায় পদায়নের জন্য চলছে প্রতিযোগিতা।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘পদোন্নতি ও পদায়ন যা করা হচ্ছে, এগুলো সংস্কারের অংশ নয়, প্রশাসনিক ব্যাপার। সংস্কার হচ্ছে মৌলিক পরিবর্তন করা। আইনকানুন পরিবর্তন, নিয়োগপ্রক্রিয়া ঠিক করা, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা পুলিশের লোক, নাকি স্বাধীন কোনো সংস্থা দেখবে; এগুলো ঠিক করা হচ্ছে সংস্কার। পদায়ন, পদোন্নতি এখনকার মূল কাজ নয়। অন্য কাজগুলোর মধ্যে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করা জরুরি।’

পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়ে তা দৃশ্যমান ও বাস্তবায়ন করা উচিত। সংস্কারের শুধু একটি দিকে জোর দিয়ে কতিপয় বঞ্চিত পুলিশ সদস্যের পদোন্নতি ও পদায়ন করে বাহিনীর সার্বিক মনোবল বৃদ্ধি এবং জনগণের আস্থা অর্জনে বিশেষ কাজে আসবে না।’আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions