খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা তথ্য গোপন করে উপ-সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
জানা গেছে, এক সময় টিটন খীসা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ২৪বিসিএস-এ প্রশাসনিক ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ বালু ইজারা এক উপজেলা চেয়ারম্যানকে মারধরে অপরাধে বিভাগীয় মামলা হয়। এ ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তে টিটন খীসার বিরুদ্ধে অভিযোগে সত্যতা পায়। ফলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় টিটন খীসার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। টিটন খীসা আদালতে আশ্রয় নিয়ে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পাল্টা আপিল করে। যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। যার কারণে পদোন্নতি এতদিন আটকে ছিল।
দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকা ১১৭ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ (অতীতের কোনো সময়ে কার্যকর ধরে) উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ তালিকায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসাকেও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তবে পদোন্নতি তালিকায় তাকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দেখানো হয়। ঘটনাটি এমন তাকে উপ-সচিব থেকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেখা হয়েছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন টিটন খীসা। খাগড়াছড়ি পার্বত্য একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পোস্টিং দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। টিটন খীসা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি তিনি বাজার ফান্ডেরও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তথ্য পাচার, জেলা পরিষদে বিভিন্ন নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস, মধু চাষসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আত্মসাৎ, বাজার ফান্ডে বন্দোবস্তিতে ফাইল আটকিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়সহ অজস্র অভিযোগ ছিল। গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা উপ- সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরি জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে টিটন খীসা কর্মস্থলে আসেনি।