ডেস্ক রির্পোট:- রাজধানীর মিরপুরের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রেপ্তার জামায়াত শিবিরের ৫৮ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তিনি হলেন উপ ব্যবস্থাপক আবু মাসুম সিদ্দিকী। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সরকারের এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তা ফাহিম ও দৈনিক সংগ্রামের একজন ফটো সাংবাদিক রয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে তাদের মিরপুরের সিক্স সিজন নামে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আটক করে দারুসসালাম থানা-পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছে, তারা গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুসসালাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
রোববার তাদের আদালতে হাজির করলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক দশজনকে একদিন করে রিমান্ড এবং ৪৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ প্রসিকিউশন দপ্তরের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, ফরহাদ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস মজুমদার, আবদুল আজিজ, মাইনুল ইসলাম তুহিন, জিয়া উদ্দিন, হারুন অর রশিদ, তাজিরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও এস এম কাইয়ুম হাসেন।
এছাড়া গ্রেপ্তার বাকি ৪৮ জনকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় বলা হয়, ঘটনার দিন জামায়াতের গ্রেপ্তার ৫৮ জন ছাড়াও পালিয়ে যাওয়া আরও ৩০-৪০ জন মিলে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই এ বৈঠকের আয়োজন করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয় পুলিশ। তাদের দখল থেকে আটটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।