শিরোনাম
১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সব নির্বাচন চান সম্পাদকরা রাজপথে পরিকল্পিত নৈরাজ্য,হাসিনার ষড়যন্ত্রে একের পর এক অস্থিরতার চেষ্টা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা হারাচ্ছেন বড় গ্রুপের প্রভাবশালীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঘুষের সিন্ডিকেট,বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার সঙ্গে দেনদরবারেও জড়িত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকের প্রস্তুতি, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে-টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস আগামী নির্বাচন নিয়ে দিল্লি ভয়ংকর পরিকল্পনা করছে: জাগপা নেতা রহমত নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায়

চট্টগ্রামে বিএনপির আমীর খসরুসহ ৪ নেতার বাসায় হামলা, অগ্নিসংযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৮৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর মিছিল নিয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণকালে আজ শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের বাসভবন, ট্রাফিক পুলিশ বক্স, যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা–ভাঙচুর এবং এক সংসদ সদস্যের নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ হয়। এ হামলার পর রাত ৮টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু, চট্টগ্রাম বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি নেতা মীর হেলাল ও এরশাদ উল্লাহর বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে।

নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘পুলিশকে সঙ্গে অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু, বিএনপি নেতা মীর হেলাল ও এরশাদ উল্লাহর বাসা বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে।’

ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসা নগরের পাঁচলাইশ থানার বাদশা মিয়া সড়কে। সেখানে এখন টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস রয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় সাংবাদিকেরা বেশ আতঙ্কে ছিলেন। মেহেদীবাগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসা ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেডিকেলের পাশে মীর হেলালের বাসায়ও হামলা করা হয়েছে।

বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা টাইগারপাস, জিইসি মোড় ও বহদ্দারহাটে সমাবেশ করেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২ নম্বর গেটে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা করা হয়। এর পরপরই বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, ‘আহত চারজনই ছররা গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা মোটামুটি ভালো।’

এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘রক্ত দিয়েছি, খুনিদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। খুনিদের সঙ্গে কোনো বৈঠক নয়, কোনো আলাপ নয়। আমাদের আলাপ পরিষ্কার; দফা এক, দাবি এক—শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’

রাফি বলেন, ‘এটা কোনো বক্তৃতার মঞ্চ নয়, আমরা বক্তৃতা দিতে আসিনি। গল্প বলতে চাই না, আপনারা সবই জানেন। গতকাল বলেছিলাম একটা বুলেট চালাবেন না, ফলাফল ভালো হবে না। কিন্তু আপনারা আমাদের কথা শুনেননি। আপনারা ঢাকা, সিলেট, রংপুরে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমার ভাইদের হত্যা করেছেন।’

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions